ঠাকুরগাঁওয়ে কিশোর গ্যাংয়ের দু’পক্ষের সংঘর্ষে মেহেদি নামে (১৭) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় আরমান (১৬) নামে আরও একজন আহত হয়েছে।
বুধবার (২২ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের অদূরে দুরামারি বিসিক শিল্পনগরী মোড়ের শামিমের হোটেলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম আতিক। তিনি বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
নিহত মেহেদী হাসান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
সে রুহিয়া থানার সেনিহাড়ী ২নং ওয়ার্ড খোমরোতপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের (বিজিবির অবসর প্রাপ্ত) ছেলে।
আহত আরমান শহরের পরিশোধ পাড়ার জুয়েল ইসলামের ছেলে।
নিহতের মরদেহ বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাদেকুল জানান, রাত ৮টার দিকে কিশোর বয়সী কিছু ছেলেদের চিল্লাচিল্লি শুনতে পেয়ে বাজারের লোকজন এগিয়ে যায়। পরে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
নিহত মেহেদির মামা আমজাদ হোসেন বলেন, স্কুলে যাওয়ার সুবিধার্থে মেহেদি আমাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। সন্ধ্যায় কেউ একজন মেহেদিকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে মোবাইলে একজন হামলার বিষয়টি জানায়।
আহত আরমানের পিতা জুয়েল ইসলাম বলেন, আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। হঠাৎ ছেলে আমাকে কল দিয়ে আহত হবার কথা জানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ছাবরিনা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মেহেদির মৃত্যু হয়েছে। আরমানের অবস্থা খুব বেশি গুরুতর না হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) তানভীরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছেন। এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: