ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের অংশগ্রহণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ঢাবির শতবর্ষের অনুষ্ঠান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শতবর্ষের অনুষ্ঠান বর্জন করে এবং দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, শতবর্ষের অনুষ্ঠানকে একটি সরকার দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। তাই সর্বশেষ নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি (ভিপি) হিসেবে আমি ওই অনুষ্ঠান বর্জন করছি।
বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও গৌরবের সঙ্গে জড়িত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা এদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত আনন্দের। বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকে এ জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে পথ দেখিয়েছে। শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রশাসন দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে গর্ব এ দেশের সকল মানুষের।
শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ডাকসুর অনুপস্থিতিকে অসম্পূর্ণতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ঘিরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী নির্বাচিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ (ডাকসু) নেই। যা শতবর্ষের অনুষ্ঠানের বড় অপূর্ণতা। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিশ্চিত না করে শতবর্ষের অনুষ্ঠান আয়োজন করা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বহিঃপ্রকাশ।
নুর আরও বলেন, শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সরকারি দলের বাইরে ঢাবির কীর্তিমান সাবেক শিক্ষার্থীদের নিমন্ত্রণ না করা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সংকীর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সামরিক স্বৈরশাসন বিরোধী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৯০-এর সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ডাকসু নেতাদের নিমন্ত্রণ না করা ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবজ্ঞা ও অবহেলা ফুটে উঠেছে। যা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মর্যাদাহানিকর।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: