বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি 

বেরোবি প্রতিনিধি | ২৯ নভেম্বর ২০২১, ০১:২১

ছবিঃ সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের প্রধান জনি পারভিনের পদত্যাগসহ অতিদ্রুত ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে প্রশাসন ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

রোববার দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনে অবস্থিত অর্থনীতি বিভাগের কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে বিভাগের কোন শিক্ষক ছিলেন না। দাবি আদায়ে বর্তমানে উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, অর্থনীতি বিভাগ সেশনজটমুক্ত ও আইকিউএসি রেটিংয়ে প্রথম স্থানপ্রাপ্ত বিভাগ ছিল। কিন্তু জনি পারভীন বিভাগীয় প্রধান হওয়ার পর থেকে লাগাতার অনুপস্থিত থাকছেন। করোনাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অনলাইনে ক্লাস চালু করলেও তিনি এক বছর সাত মাসেও কোনো একাডেমিক সভা আহ্বান এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করেননি। ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়েছে।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, জনি পারভীন অর্থনীতি বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভাগের শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন। 

এ অবস্থায় তিনি বিভাগের পদ থেকে অপসারণ না করলে আন্দোলন অব্যাহত রাখার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর জনি পারভীনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বিভাগের প্রধান থেকে অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন বিভাগের ৬ শিক্ষক।

অভিযোগপত্রে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, একাডেমিক সভায় অন্য শিক্ষককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন জনি পারভীন। কারো পরামর্শ না নিয়ে নিজের মতকে সবার ওপর চাপিয়ে দেন। বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সঙ্গে সবসময় অমানবিক আচরণ করেন, যা বিভাগের পরিবেশ ও শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। 

শিক্ষকরা আরও উল্লেখ করে বলেন, জনি পারভীন একাডেমিক কমিটির প্রথম সভায় বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সভার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শিক্ষকদের বাদ দিয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে উপাচার্যকে অন্তর্ভুক্ত করেন। কমিটি নিয়মের বহির্ভুত হওয়ায় বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন পদত্যাগ করেন। অনুপস্থিতির কারণে তার ডেস্কে বিভিন্ন আবেদনপত্র ও জরুরি কাগজপত্র আটকে থাকছে।

অভিযোগপত্রে বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী অধ্যাপক শাফিউল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন ও প্রভাষক কাজী নেওয়াজ মোস্তফা সই করেন।

তবে এবিষয়ে জনী পারভীনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও উপাচার্যের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। #


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: