'হলে থাকতে হলে গালি খেতে হবে'

সময় ট্রিবিউন | ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১০:১৮

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দ্বন্দ্বে জড়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র কর্মীদের দুটি গ্রুপ-ছবি সংগৃহীত

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র কর্মীদের দুটি গ্রুপ। এতে দুই জুনিয়র কর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সিনিয়রকর্মী আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাবা হিমুর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী আরবি ভাষা ও সাহিত্যের ২০১৯-২০ সেশনের ফয়সাল হোসেন ও একই সেশনের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের তামজিদ হায়দার জিত অভিযোগ করে বলেন, কোনো রকমের দোষত্রুটি ছাড়াই আমাদের ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেন তারা। আমরা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন ‘হলে থাকতে হলে এভাবেই থাকতে হবে। নাহলে হল থেকে নেমে যেতে হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূল ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে। সেদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ‘ব্যাচের নাম নির্ধারণ’ সংক্রান্ত সভায় কথা বলেন জুনিয়রকর্মী জিত। সেখানে তার কথায় ক্ষুব্ধ হন সিনিয়রকর্মী হিমু। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার জুম্মার নামাজ পর জিতের বন্ধু ফয়সালকে ফোন করে শেখ রাসেল হলের সামনে দেখা করতে বলেন হিমু। তারা সেখানে গেলে হিমু এবং রানা তাদের গালিগালাজ করেন এবং শাসান।

তারা বলেন, ‘হলে থাকতে হলে গালি খেয়েই থাকতে হবে’। পরে জিত ও ফয়সাল হলে ফিরে বন্ধুদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করে এবং সাদ্দাম হোসেন হলের দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগকর্মী হিমেল চাকমা ও শিমুলের কাছে বিচার দেয়। এসময় হলে উত্তেজনা শুরু হয়। এসময় তারা বঙ্গবন্ধু হলে দিকে তেড়ে যেতে লাগলে হলের প্রধান ফটকের গেইট লাগিয়ে দেয়া হয়। পরে হিমেল চাকমাসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে ঘটনা কিছুটা শান্ত হলেও পরবর্তীতে বিকেল চারটার দিকে পুণরায় উত্তেজনা শুরু হয়। এসসময় ধ্রুব, জিৎ ও ফয়সালসহ  বেশ কয়েকজন জুনিয়র রড, বাঁশ ও লাঠিসোডা নিয়ে হলের প্রাচীর টপকে জিয়া মোড়ে পৌঁছালে সিনিয়র ছাত্রলীগকর্মীরা তাদের বাঁধা দেয় এবং কামরুল ইসলাম অনিক ও বিপুল হোসাইন খানেরা এসে তাদের হলে পাঠিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী জিত বলেন, বিনা অপরাধে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমরা ভদ্রভাবে প্রতিবাদ করতে গেলে পুণরায় তারা হুমকি দেয়। এর আগেও তিনি কয়েকবার আমাদের এভাবে ডেকে পাঠান এবং অহেতুকভাবে শাসান।

এ বিষয়ে হিমু বলেন, সিনিয়র হিসেবে তাদেরকে ডেকে একটু কথা বলেছি। হুমকি দেইনি আর গালিগালাজও করিনি। সিম্প্যাথি সিক করার জন্য হয়ত ওরা বাড়িয়ে বলেছে।

এবিষয়ে পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগনেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে কয়েকবার কল করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: