মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করায় বুয়েট রেজিস্ট্রারকে অপসারণের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম

সময় ট্রিবিউন | ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১০:০৪

ছবিঃ সংগৃহীত

বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: ফোরকান উদ্দিন কর্তৃক মহান মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ ও অবমাননা করার অপরাধে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাকে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন স্বাক্ষরিত লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ এই দাবি জানানো হয়েছে।

লিখিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: ফোরকান উদ্দিন কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে মহান মুক্তিযুদ্ধকে চরমভাবে কটাক্ষ ও অবমাননা করা হয়েছে যা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী ও সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তার এধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃতপক্ষে তিনি বুয়েটে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। বুয়েট কি তাহলে বাংলাদেশের বাহিরের প্রতিষ্ঠান? স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বুয়েটকে পরিচালনা করতে দিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বুয়েট পরিচালনা আইন দ্রুত পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বুয়েটকে পরিচালনা করতে হবে।

সম্প্রতি বুয়েট রেজিস্ট্রার তার স্বাক্ষরিত একটি পত্রে লিখেছেন, "মুক্তিযুদ্ধ আজ হইতে ৩৪ বছর পূর্বে হয় এবং এযাবত কোন কোটা ছাড়াই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলিয়া আসিতেছে। কোটা সিস্টেম চালু হইলে বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রমের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকিবে।" কোটা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার এধরণের বক্তব্য দেশের প্রচলিত আইন, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। বুয়েটের প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, তাহলে কি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তান-প্রজন্মরা বুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম, সমাজ ও রাষ্ট্রের স্ট্যান্ডার্ডের বাহিরে? বুয়েট প্রশাসনকে অবশ্যই তাদের বক্তব্য জাতির সামনে পরিস্কার করতে হবে। এছাড়াও তিনি সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে "মুক্তিযোদ্ধা" শব্দটির সামনে বীর শব্দটি লেখেননি যা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অবমাননাকর। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশ কোটায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনীরা ভর্তি হতে পারবেন। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের এই নির্দেশনা মানতে পারলে বুয়েট প্রশাসন কেন মানতে পারছে না? দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বুয়েট প্রশাসন প্রতিনিয়ত সরকারী নির্দেশনা লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। বুয়েট প্রশাসনকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

বুয়েটের রেজিস্ট্রারের এধরণের বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। বুয়েট প্রশাসনের নিকট আহবান, দেশের সংবিধান, প্রচলিত আইন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী বক্তব্য দেয়ার অপরাধে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: ফোরকান উদ্দিনকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বুয়েট প্রশাসনিক ভবন ঘেরাওসহ আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: