জাবিতে ভর্তিচ্ছুদের জন্য ইচ্ছা'র ব্যতিক্রম আয়োজন 

মান্নান, জাবি স্নাতক | ১১ নভেম্বর ২০২১, ০৭:৪১

ছবিঃ সংগৃহীত

জীববিজ্ঞান অনুষদের ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০- ২০২১ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। উৎসব মুখর পরিবেশে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নানা আয়োজন ছিল। এর মাঝে জাবির সামাজিক সংগঠন ইচ্ছা'র এক ব্যতিক্রম আয়োজন চোখে পড়েছে। 

ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা মোবাইল, ব্যাগ পরীক্ষার হলরুমে নিয়ে যেতে পারে না। কিন্তু যেসকল শিক্ষার্থী দূর দূরান্ত থেকে একা পরীক্ষা দিতে আসে তাদের মোবাইল, ব্যাগ রাখার জন্য কেউ থাকে না।অনেকে টাকার বিনিময়ে এসব জমা রাখে। জাবির সামাজিক সংগঠন ইচ্ছাকে গত দুই বছরের ন্যায় এই বছর ও বিনামূল্যে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে শিক্ষার্থীদের মোবাইল, ব্যাগ,বই জমা রাখতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে ইচ্ছা'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুজ্জামান শুভ বলেন, “গত দুই বছরের ন্যায় ইচ্ছা এ বছর ও বিনামূল্যে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মোবাইল, ব্যাগ জমা রেখেছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। করোনার কারণে এবছর হলে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের থাকতে দিচ্ছে না। ইচ্ছা ছেলে শিক্ষার্থীদের ফ্রি আবাসনের ব্যবস্থা করেছে”। 

ইচ্ছার সভাপতি সোহেল রানা বলেন, “ভর্তি পরীক্ষার পুরোটা সময় আমাদের এই বিনামূল্যে সেবার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে”। 

ইচ্ছা'র সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সাগর বলেন, “প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিনামূল্যে জমা রাখছে ইচ্ছা। প্রত্যেক বছরই দূর দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা আসে ভর্তি পরীক্ষা দিতে। সঙ্গে মোবাইল, ব্যাগ, বই ইত্যাদি নিয়ে আসে। যেহেতু এগুলা নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা নিষেধ। তাই তাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আমরা এই কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করছি”। 

ইচ্ছা'র দপ্তর সম্পাদক ইমন বলেন, “সারাদিন রোদে বসে থাকা, সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম স্বার্থক মনে হয় যখন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা হাসিমুখে 'ধন‌্যবাদ ভাই' বলে। আসলে এই অনুভুতি হাজার টাকা প্রাপ্তির চাইতেও অনেক বেশি সুখকর”। 

ইচ্ছা'র সহ- অর্থ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা পিংকি বলেন, “নতুন অভিজ্ঞতা হলো আজ। সারাদিন কষ্ট করেছি কিন্তু পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পেরে কষ্ট গুলো আনন্দে পরিনত হয়েছে, নিজের মধ্যে একটা আলাদা শান্তি অনুভব করছি। সবসময় ইচ্ছার সাথে থাকতে চাই”। 

এছাড়া প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান আপেল, সাবেক সহ সভাপতি পিংকি, সহ সভাপতি সিফাত ফাতেমা দীন সহ -অর্থ সম্পাদক শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।

ভর্তিচ্ছুদের মাঝে মাস্কের বিতরণ করেছে ইচ্ছা। এছাড়া তথ্য ও দিক নির্দেশনা দিয়ে ভর্তি সহযোগিতা করছে তার। উল্লেখ্য ইচ্ছা ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকেই জাবি ক্যাম্পাস এবং সারাদেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। বন্যায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ,শীতে শীতবস্ত্র বিতরণ, রোজায় খাদ্য সামগ্রী,ইদের বাজার,ইদ বস্ত্র বিতরণ সহ নানা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: