১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার সত্যতা পেল তদন্ত কমিটি

সময় ট্রিবিউন | ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০১:৪০

ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ছবি- সময় ট্রিবিউন  

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

তদন্তে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এর সত্যতা পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর একটি তদন্ত দল বিষয়টি তদন্ত করতে ক্যাম্পাসে আসবেন। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা হলে প্রবেশপথে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন এই কাজটি করেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। গতকাল রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের বিসিক মোড় এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন ও কান্দাপাড়া এলাকায় প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বাইরে অবস্থান নেন তারা।

এ সময় বিকেল ৪টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ও তদন্ত কমিটির প্রধানসহ সহ ৩৩ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে করা আন্দোলন থেকে বক্তব্য দেওয়া কালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রকাশ্যে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শামীম হাসান (২৪) নামে এক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে তাকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে ২২ অক্টোবর রাত ৮টা থেকে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন ও আমরণ অনশনে নামেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় আবারও আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: