বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পালন করা হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

সোমবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রয়োদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেন, প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরে নানাবিধ সীমাবদ্ধতায় হয়তো কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। তবে সমস্যা যাই থাকুক নিয়মের ভেতরে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বৈশ্বিক মহামারিতেও অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রমের এ ধারা অব্যাহত রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় দ্রæততম সময়ের মধ্যে সেশনজটমুক্ত হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও যতদ্রত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আবাসিক হল খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।  

আলোচনায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনার সভাপতিত্বে এবং ছাত্রউপদেষ্টা মো: নুরজ্জামান খানের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় মূল আলোচক ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ) এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রক্টর মোঃ গোলাম রব্বানী। বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও ছাত্রনেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।

দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে জোহর নামাজের পর কেন্দ্রিয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।