দেশের সকল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি | ১১ অক্টোবর ২০২১, ২০:৫০

ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি, এমপিওভুক্তি ও শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নতকরণসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। 

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার পূর্বমূহুর্তে সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সামনে সকাল ১১ টার সময়ে এক মানববন্ধনে এ দাবিগুলো জানান তারা। 

পদযাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে রওয়ানা হলে শাহবাগ আসলে পুলিশী বাধার সম্মুখীন হন তারা। পরবর্তীতে শাহবাগে অবস্থান করে মানববন্ধন করেন সংগঠনটি। 

গাইবান্ধা জেলার আহমেদপুর বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফুর রহমান বলেন, আমি সাত বছর ধরে স্কুল থেকে একটি টাকাও পাইনি। ছেলে-সন্তান ও পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। তার ওপর আবার আমরা নিজস্ব টাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, টিফিন, শিক্ষার প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে থাকি। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, সারাদেশের প্রায় ২ হাজার প্রতিবন্ধী স্কুল জাতীয়করণ করুন এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর এগিয়ে নেয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

মানববন্ধনে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষে ১১টি দাবি পেশ করেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান অপু। তাদের দাবিগুলো হলো-

 

১.প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিও প্রদান 

২. স্বীকৃতির তারিখ হতে শতভাগ বেতন ভাতা ও সব ধরনের সুবিধাদান নিশ্চিতকরণ।

৩.সব বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান।

৪.সব বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ নিশ্চিতকরণ।

৫. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপযোগী স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করা।

৬.সব বিদ্যালয়ে চাহিদানুযায়ী শিক্ষা উপকরণ শতভাগ নিশ্চিত করা।

৭.প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং নিশ্চিত করা।

৮.শিক্ষক-কর্মচারীদের মানোন্নয়নমূলক ট্রেনিংসহ সংশ্লিষ্ট সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।

৯.শতভাগ বিদ্যালয়ে আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা।

১০.প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক থেরাপি সরঞ্জাম সরবরাহসহ থেরাপি সেন্টার চালু করা। 

১১. শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানসহ আত্ম-নির্ভরশীল জীবন-যাপনের নিশ্চয়তা প্রদান করা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: