আগামীকাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। হলে খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া গবেষণাগারে সকাল থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে। এ কার্যক্রমে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওয়াজেদ মিয়া গবেষণাগারের পরিচালক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে যেসব শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে ক্ষুদে বার্তা পেয়েও এখন পর্যন্ত টিকা নিতে পারেননি, তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ওয়াজেদ মিয়া গবেষণাগারে ৬টি বুথ স্থাপন করেছি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি ও শৃঙ্খলা মেনে যাতে কার্যক্রম চলে, সে ব্যবস্থা নিয়েছি। বুথগুলো ইতোমধ্যেই ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
অধ্যাপক এ এ মামুন আরও বলেন, সকাল ১০টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে দেড়টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই হল থেকে প্রভোস্টের স্বাক্ষরিত ফরম নিয়ে আসতে হবে। তবে যাদের জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নেই, তারা টিকা নিতে পারবেন না।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা রেজিস্ট্রেশন করে এখনও টিকা নিতে পারেননি, তাদের আগে দেওয়া হবে। পরের ধাপে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের জন্য কী ব্যবস্থা? এ বিষয়ে অধ্যাপক মামুন বলেন, এটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। অবশ্যই পরে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ২ ডোজ টিকা নিতে পেরেছেন। ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী ১ ডোজ পেয়েছেন এবং ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো ডোজই পাননি। প্রায় ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায়, টিকা নিতে পারেননি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: