ইবিতে বিবিএ বিল্ডিংয়ে শর্ট সার্কিট ঘিরে আতঙ্ক

ইবি প্রতিনিধি | ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০১

ছবিঃ সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিবিএ ভবনে আকস্মিক ভাবে শর্ট সার্কিট এর ঘটনা ঘটেছে। ভবনটির সার্কিট বোর্ড থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে ভবনটির নিচতলা’সহ পুরো বিল্ডিংয়ে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে। এরপর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সম্পূর্ণ বিল্ডিংটি।
 
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ভবনের নিচতলায় বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এমন শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটে। এসময় সার্কিট বোর্ড ঠিক করার সময়টুকু বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয় ভবনটিতে।
 
ঐ ফ্যাকাল্টির শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, আকস্মিকভাবে ব্যবসায় অনুষদ ভবনের নিচতলার উত্তর পাশের সিঁড়ি সংলগ্ন সার্কিট বোর্ডে হঠাৎ উচ্চ শব্দের সাথে ফায়ার হয়। এতে শিক্ষার্থীরা প্রথমে একত্রে নিচতলায় জড়ো হলেও পরে এলোমেলো ভাবে আতঙ্কিত হয়ে স্থান ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা। 
 
প্রাথমিক ধারণায় বিদ্যুতের অভারলোর থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন সেখানে কাজ করতে আসা একাধিক ইলেক্ট্রিশিয়ান। তারা ব'লেন, বিদ্যুত এর লোড সামলানোর ক্ষমতা ও ব্যবহারের যে মাত্রা এর তারতম্যের কারণে এমনটা ঘটতে পারে।
 
এদিকে এবিষয়ে বেশ আতঙ্কিত ঐ ফ্যাকাল্টির রাহাত নামের এক শিক্ষার্থী জানান, আমি ক্লাসে বসে ছিলাম। হঠাৎ ফ্যাকাল্টির ভেতর থেকে উচ্চ শব্দ পেয়ে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে আসি। পরে দেখি আগুনের ফুলকিও বের হচ্ছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বিবেচনায় আমি ঐ স্থান থেকে সরে যাই।
 
অগ্নি ঘটনার বিষয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিল্ডিং এ ইলেক্ট্রিসিটি ওভার লোড। এই কারণেই হয়তো এইটা হচ্ছে। প্রকৌশল অফিস থেকেও জানানো হইছে এই অতিরিক্ত লোডের কথা। এখানে প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট ই স্বাধীন। যদি ডিপার্টমেন্ট এর পক্ষ থেকে একটু সচেতনতার সাথে ব্যবহার করা হয় তাহলে হয়তো তা এড়ানো সম্ভব।
 
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ.কে. এম শরীফ উদ্দীন বলেন, কি কারণে আগুন ধরতে পারে জানতে চাইলে বলেন, বিদ্যুৎ এর অতিরিক্ত লোডের জন্য এমনটা হতে পারে। আমরা প্রশাসনকে বিভিন্ন সময় জানিয়েছি। বিভিন্ন রুমে এসি ব্যবহার করলে তারা তাদের ইচ্ছেমতো লাগিয়ে নেয়। আমাদেরকে জানানোর প্রয়োজন মনে করে না তারা।
 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: