ফের উত্তাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, তোপের মুখে ছাত্র পরামর্শক

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | ৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় আবারো আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার চেয়ে আবারো প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তদন্ত কমিটির কাজের সময় বেঁধে না দেওয়া এবং দুই শিক্ষকের নাম আসলেও একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা শিক্ষক সাজন সাহার পাশাপাশি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগেরও তদন্তের দাবি জানান। তারা বলেন, ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় সাজন সাহা এবং রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র দুইজনের নাম উল্লেখ করেই লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অথচ তদন্ত কমিটির চিঠিতে শুধু সাজন সাহার বিষয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও তদন্ত কমিটিকে কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি, যেটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে, প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। কথা বলার সময় হঠাৎ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ। শিক্ষার্থীদের পাল্টা প্রতিত্তোরে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা মেহেদী উল্লাহকে সরিয়ে নিয়ে যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘দালাল’, 'দালাল' বলে দুয়োধ্বনি দেন।

এর আগে গতকাল বুধবার ট্রেজারার ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের ‘উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। অন্য দুই সদস্য হলেন, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার ও সিন্ডিকেট সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. এ কে এম আব্দুর রফিক।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় হয়রানি এবং বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন একই বিভাগের ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: