বহিরাগতকে সাথে নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

জাবি প্রতিনিধি | ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ২০:৩০

বহিরাগতকে সাথে নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বহিরাগতকে সাথে নিয়ে দোকানপ্রতি এক হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন ডেইরি গেইটের বাহিরের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। চাঁদা না দিলে আগামীকাল থেকে  ব্যবসা বন্ধ, ভ্রাম্যমাণ দোকান তুলে দেয়াসহ তাদেরকে মারধরের হুমকি দেয়া হয়।
 
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি গেইট সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেয়া নিয়ম মেনে চলতি বছর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো দোকান বসানো হয়নি। কিন্তুু ডেইরি গেইটের বাহিরে দোকান বসালে তারা (আল রাজি সরকার ও বহিরাগত কাওসার) আমাদের কাছে থেকে এক হাজার টাকা দাবি করে। চাঁদা না দিলে আগামীকাল থেকে দোকান তুলে দেয়া ও ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। এছাড়াও তাদের কথা না শুনলে মারধরের হুমকি দেয়া হয়।
 
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৫ ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আল রাজি সরকার। তিনি শাখা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। 
 
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্র মতে, আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৩ টায় আল রাজি সরকার এবং তার সহযোগী বহিরাগত কাওসারকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ফটকের বাহিরে থাকা ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে সে ও তার সহযোগী কাওসার এসব দোকানীদেরকে মারধরের হুমকিসহ তাদের দোকান তুলে দেয়ার কথা বলে। এতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পরে ব্যবসায়ীরা।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আল রাজি সরকার বলেন, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনি হল ও বঙ্গবন্ধু হলের কিছু শিক্ষার্থীরা জড়িত।'
 
বক্তব্যের এক পর্যায়ে অভিযোগকারীদেরকে তিনি অশ্রাব্য ও অশ্লীল ভাষায় বিভিন্ন গালিগালাজ করেন।  যার রেকর্ডিং প্রতিবেদকের হাতে সংরক্ষিত আছে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত আল রাজি সরকারের বিরুদ্ধে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে ছুরিকাঘাত, অপহরণ করে  মুক্তিপণ আদায়, র‍্যগিং, লেগুনা থেকে চাঁদা আদায়সহ নানান অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃতও হয়েছেন তিনি। এত অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে বহিরাগত এনে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার প্রশ্রয়ে বহিরগতদের এক নিবিড় আবাসস্থল হয়ে ওঠছে মীর মশাররফ হোসেন হল। ছিনতাই - চাঁদাবাজির মত অপকর্মের এক সাম্রাজ্য গড়ে উঠছে যা দিনে দিনে এক বেপরোয়া রূপ ধারন করছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: