ঋতুরাজ বসন্তকে আগমন জানাতে"এত যে রঙ, এতো যে আলো হাওয়ায় হাওয়ায় বসন্ত তার আবির মেখে নাম লিখে যায় "স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানারকম আয়োজন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
( জাবি)বাংলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ উপলক্ষে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় নতুন কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে মহুয়া তলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হকের উদ্বোধনে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে আনন্দ র্যালি বের করেন।
এ সময় বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.শামীমা সুলতানাসহ অন্যন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম তালুকদার বলেন, ‘শীতের রিক্ততার পরে বসন্তের মাধ্যমে প্রকৃতিতে যেমন আনন্দের জোয়ার লাগে ঠিক তেমনি বসন্তের মাধ্যমে আমাদের মনের আনন্দ দৃশ্যমান হয়। এই আনন্দ, উৎসবমুখর পরিবেশ সারাবছর ধরে বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই আমাদের এ আয়োজন।’
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহসান ইমাম বলেন, বসন্ত মানেই নতুন কিছু, বসন্ত এলে প্রকৃতি যেভাবে তার জরা-জীর্ণতা ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্যমে নতুন রূপ ধারণ করে। আমরাও সেভাবে নতুন কুঁড়ি প্রস্ফুটিত হওয়ার মতো নতুন উদ্যমে জেগে উঠি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, বিদ্যায়তনগুলোতে প্রকৃতিকে ধারণের এমন চর্চা অব্যাহত থাকুক। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে এ উৎসব উদযাপনে এসেছি, খুবই ভালো লাগছে।’
এই উৎসব উপলক্ষে বাংলা বিভাগের ৫১ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন,
আমরা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বসন্ত বরণ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতিকে লালন করেছি, যা আমাদের বাঙালিত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করে।এবং আমরা এবারও গান, নৃত্য,আবৃত্তি ও আনন্দ র্যালিসহ নানারকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উদযাপনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে আনন্দময় করে তুলি।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: