পর্যটকদের কারণে বিভিন্ন সময়ে দূষিত হচ্ছে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত। এতে করে হুমকীতে পড়ছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য। সমুদ্রের পরিবেশ রক্ষা ও পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে ব্যতিক্রমী পুতুল নাট্য (পাপেট শো) ও পুতুল অভিনয়ের আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষার্থীদের পরিচালিত সামাজিক সংগঠন 'কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার'।
গত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী কক্সবাজারের স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পুতুল নাচ প্রদর্শন করা হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর উদ্যোগে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়েছেন আসাদুজ্জামান আশিক, তারেক হোসেন, শ্রী কৃষ্ণ,আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
আয়োজকরা জানায়, সামুদ্রিক পরিবেশ সচেতনতায় যাত্রা পথে বিভিন্ন স্থানীয় স্কুলে তারা পাপেট শোর আয়োজন করেছেন। একই সাথে ফেলে দেয়া প্লাস্টিক দিয়ে পাপেট বানানো শিখিয়েছেন। টেকনাফের সমুদ্র জেটি ও সেন্টমার্টিনের সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা এ আয়োজনটি পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও প্লাকার্ড, ফেস্টুনেও তারা পরিবেশ সচেতনার বার্তা প্রচার করছেন।
ব্যতিক্রমী এ আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা আসাদুজ্জামান আশিক বলেন, 'পরিবেশ দূষণ রোধ করা তথা সমুদ্রকে রক্ষা করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ রক্ষায় একটি কাজ করতে চাচ্ছি। আমরা সমুদ্র তীরে পাপেট শো, মাপেট শো থেকে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী প্রচার অভিযান করতে যাচ্ছি। পাপেট আমাদের দেশীয় একটি ঐহিত্য, এটির মাধ্যমে পর্যটকদের পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করতে বেশ কিছু বার্তা দিতে চাই। যার কারণে আমাদের পর্যটকরা সচেতন হয় ও সমুদ্র দূষণ রোধে তারাও এগিয়ে আসে।'
উল্লেখ্য, কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার একটি সামাজিক বিনোদনমূলক সংগঠন। সংগঠনটি ২০১৯ সাল থেকে সমাজ পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে এবং সমাজকে সুন্দরভাবে বিনির্মাণের জন্য এর আগে তারা বেশ কিছু কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে সারাদেশে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: