"ফুল ফুটেছে গন্ধে সারা মন
তুমি আমার কতো যে আপন!"
গানটির রচিয়তা যেনো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শীতকালীন ফুলের নয়নাভিরাম সমারোহকেই মনে করিয়ে দেয় বারবার। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছেঁয়ে গেছে বাহারি ফুলের আবরণে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তার দুই ধারে গাঁদা, গোলাপ, রঙ্গন, ডালিয়া, জবাসহ অন্তত আট থেকে দশ প্রজাতির ফুল ফুটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে শহীদ মিনার এবং স্মৃতিসৌধের সামনে এক অন্যরকম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে এই পুষ্প গালিচা। রাস্তাধরে হাঁটলে মনে হয় যেনো ফুলেল গালিচা বিছানো রয়েছে ক্যাম্পাসজুড়ে। বিভিন্ন একাডেমিক বিল্ডিং এবং প্রশাসন ভবন থেকে শুরু করে হল ও রাস্তার পাশে প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে বিচিত্র ধরনের ফুলের বাগান। বাদ যায় নি কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্ত্বর। বাগানগুলোতে গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, গোলাপ, রঙ্গন, জারবিরা, জবা, ঝাউ, হাসনাহেনা ফুলে ভরে আছে। এ ছাড়াও বেলি, ফায়ারবল, নয়নফুল, চন্দ্রমল্লিকা, মোরগঝুটি, কসমস, জুঁই, চামেলি, টগর, বেলি, ক্রিসমাস ও পাতাবাহারসহ নানা জাতের ফুল।
শিউলি ফুলের নৈস্বর্গ সৌরভ বারংবার তরুণ শিক্ষার্থীদের ফুলের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে। এই প্রেম থেকে কেও অবাধ্য প্রেমিক হয়ে গড়ে তুলে ফুলের স্বর্গীয় উদ্যান। উদ্যান ঘিরে চলতে থাকে তার পাগলামো অথবা উদ্যানে বসেই রচনা করে কোনো অপ্রকাশিত উপন্যাস।
এরকম ফুলেল ক্যাম্পাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছাসিত। কেউ সেলফি, কেউ গ্রুপ ছবি এবং কেউবা সবুজ প্রকৃতির সাথে মিশে থাকা ফুলের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করছে বন্ধুবান্ধবদের সাথে থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম এ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াসিফুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সুবাসিত করে রাখার মতো প্রাকৃতিক একটি সৌন্দর্যের বস্তু হচ্ছে ফুল। এই ফুল শিক্ষার্থীদের মাঝে স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়ে তৈরি করে এক মনোমুগ্ধকর অনুভূতি। আর তা শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার ক্লান্তি দূরীকরণে এক অনন্য পরিবেশের জন্ম দেয়।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: