কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের এখানে সেখানে গর্ত, গর্তের মাঝে আবার ছোট বড় ইট-পাথরের নুড়ি। ছোট বড় খানাখন্দের সাথে মিশেছে বৃষ্টির পানি। ফলে ইট-পাথর-কাঁদার সংমিশ্রণে নাজেহাল অবস্থা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের।
কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি সংস্কারের অভাব, অতিরিক্ত ওজনবাহী ট্রাক চলাচল এবং মেরামতের অভাবে ধুকছে। এতে সড়কের একপাশ চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় অপরপাশ দিয়ে ঝুকিপূর্ণ ভাবেই চলছে গণপরিবহন। দুর্ঘটনার আশংকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপাশে বেশ কয়েকবার গতিরোধক স্থাপন ও ভাঙতে দেখা যায়। যার কারণেও রাস্তার এ বেহাল দশা বলে ধারণা করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে রাস্তা পারাপারে শিক্ষার্থী জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলেও মনে করছেন। এছাড়া এ রাস্তায় আগেও অনেক দূর্ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান তারা।
সরজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ব্যবহৃত সড়কটি মধুপুর বাজার পার হয়ে শান্তিডাঙ্গা এলাকা থেকেই ছোট ছোট গর্তে ভরে গেছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা শুরুর স্থানটি গর্তে ভরপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন বি.এম.এস ছাত্রাবাসের সামনে অহরহ ঘটে দুর্ঘটনা। এছাড়া ইবি ল্যাবরেটরি স্কুলের বিপরীতে এবং নির্মাণাধীন একাডেমিক ভবন-২ এর সামনের অংশের রাস্তাও ভাঙ্গাচোরা। সবচেয়ে বেহাল অবস্থা ইবির প্রধান ফটক থেকে ৫০ গজ পর্যন্ত এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনের গতিরোধকের আগের অংশে খানাখন্দের কারণে রাস্তার একঅংশ চলাচলের অনুপযোগী। ফলে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা বাস-ট্রাক গুলো তাদের বাম দিক দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা চলাচল করে রাস্তার ডান দিক দিয়ে। ফলে বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্যারাগণ গ্রুপের এক ট্রাকচালক বলেন, মাসে আমাদের কোম্পানির ৮/৯ টি ট্রিপ থাকায় আমরা মোটামুটি ১৬/১৭ বার এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। ভাঙ্গাচোরা রাস্তার কারণে আমাদের ডেলিভারির ডিম ভেঙ্গে যায়, গাড়ির পার্টস নষ্ট হয়। আমরা ঠাকুরগাঁও থেকে যশোর যাই কিন্তু এই অংশের মতো খারাপ রাস্তা অন্য কোথাও দেখা যায় না। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার এই যাচ্ছেতাই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।
পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী স্বপন বলেন, আমরা মেস থেকে হেঁটে ক্যাম্পাসে যাই। কিন্তু এই রাস্তার জন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। গর্তের কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তার বাম পাশের অংশ ভাঙ্গা থাকায় পরিবহন সব ই সাদা রেখার বাইরে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে আমাদের গাঘেঁষে বেরিয়ে যায়। এতে আমাদের অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ভাবে চলাচল করতে হচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী লিটন আহমেদ খান বলেন, সাধারণত ছোটখাটো গর্ত আমরা ট্রাকে করে নিজ অর্থায়নে মেরামত করি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ওই জায়গায় ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ অনেক বেশি যা সরকারি বরাদ্দ ছাড়া মেরামত করা সম্ভব নয়। গতমাসে আমরা বাজেট দিয়ে খুলনা জোনে কাজগপত্র পাঠিয়েছি। সেখান থেকে অনুমোদন হয়ে এলেই আমরা টেন্ডারের মাধ্যমে সংস্কার কাজ শুরু করব। এতে ৩/৪ মাস সময় লাগতে পারে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: