‘রঙ্গিন ফলের বর্ণিল উৎসব’ স্লোগানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব মৌসুমী ফল উৎসবের আয়োজন করেছে। নানান স্বাদের রঙিন ফলের বর্ণিল আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে জবি প্রেসক্লাবে আয়োজিত হয় ফল উৎসব।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের চতুর্থ তলায় প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷ আম, জাম, কাঁঠাল, লটকন, লিচু, কাঠ লিচু, আনারস, পেয়ারাসহ প্রায় ১৫ ধরনের দেশিয় ফলের সমারোহ ঘটে জবি প্রেসক্লাবের এ আয়োজনে।
ফল উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
এসময় কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, 'আমাদের ছয় ঋতুর দেশ। মৌসুম বেদে বিভিন্ন ফলের সমারোহ আমরা দেখতে পাই। তার মধ্যে আম, কাঁঠাল, লিচু এসব আমরা একসাথে পাই। মৌসুমি সকল ফল'ই আমাদের খাওয়া উচিত। ফল উৎসব আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। আর এসময়ে প্রেসক্লাবের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন খুবই ভালো লাগলো।'
সভাপতির বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ বলেন, ‘আমাদের দেশ প্রাকৃতিকভাবেই মৌসুমি ফলের এক বিশাল সমারোহ আছে। দেশিয় ফলগুলো পুষ্টি ও গুণগতমাণে অনন্য৷ নিয়মিত পুষ্টিকর ফল আমাদের শারীরিক ব্যাধি থেকে হাজারগুণ দূরে রাখে৷ এ পড়ন্ত বিকেলে সবাই মিলে একসাথে মৌসুমি ফল খাওয়া সত্যিই খুব অন্যরকম এক আয়োজন৷'
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ বলেন, 'মধুমাসে প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা ফল উৎসব আয়োজন করেছি৷ পরিবার-পরিজন ছেড়ে আমরা দূরে থাকলেও বন্ধু-সহকর্মী, শিক্ষকদের সাথে একসাথে ফল খাওয়া ভিন্ন আমেজ তৈরি করেছে৷ এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও পারিবারিক আবহ পাওয়া গেছে৷’
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন সহ প্রেসক্লাবের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: