জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে ৫২ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দুইদিনব্যাপী দিবসটি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ১০.৩১ মিনিটে গোটা ক্যাম্পাস একমিনিটের ব্ল্যাকআউট ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসের "চির উন্নত মম শির"- এ মোমবাতি প্রজ্বালন করে। রবিবার (২৬ মার্চ) সারা দিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করায় হয়। এর মধ্যে দিনটি উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, '১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি তীর হারা জাতিকে তীরের সন্ধান দিতে চেয়েছেন। তিনি মার্চ মাসের ৭ তারিখে রেসকোর্স ময়দানে যে দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ দিয়েছিলেন তারপরে মূলত আমাদের স্বাধীনতা পরোক্ষভাবে ঘোষণা হয়ে যায়। বাঙালি ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে। এই প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু বাংলাদেশের চিত্রপট ধীরে ধীরে প্রতিদিন পাল্টাতে থাকে। বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরি করেন। ২৬ তারিখ প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।'
উপাচার্য সৌমিত্র শেখর আরো বলেন, '১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানীরা যে গণহত্যা করেছিল সে কাজটি ইতিহাসের জঘন্যতম কাজ। জঘন্যতম এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনো আমরা পাই নি। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই-এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। একই সঙ্গে এই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। এটা সময়ের দাবি। ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ এই সুন্দর নামের আড়ালে ইতিহাসের জঘন্যতম কাজ পাকিস্তানিরা করেছিল। গনহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য বাঙালিদের সম্মিলিত দাবি উত্থাপনের সময় এসেছে । এ দাবি উত্থাপনের মধ্যে দিয়ে মূলত ৩০ লক্ষ্য শহীদের আত্মত্যাগ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। পাশাপাশি জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে হবে। তাছাড়া স্বাধীনতা বিরোধিরা যে নামেই থাকুন তাদের ঘৃণা জানাতে হবে।'
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুসহ অন্যরা। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মাসুম হাওলাদার।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: