বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে বিদেশি নাগরিকদের সম্মান প্রদর্শনের ছবি নিয়ে রাবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী

আসিফ আজাদ সিয়াম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:২০

সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যের প্রতি বিদেশি নাগরিকদের সম্মান প্রদর্শনের ছবি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফোজিত শেখ বাবুর তোলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল অনুষদ গ্যালারিতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চিত্র প্রদর্শনীতে লালন গবেষক এস. এস রুশদীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। আরো উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী প্রমুখ।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বনেন, ‘আজকের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান। তাঁর দীর্ঘদিনের লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ, কারাবরণ, জীবন নাশের হুমকি সব উপেক্ষা করে তিনি বাঙ্গালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তার ছাত্র জীবনে রাজনীতির শুরু থেকেই প্রজ্ঞা, নিষ্ঠা এবং ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি যে পরবর্তীতে বটবৃক্ষে পরিণত হবেন তার আলামত সেই সময় পাওয়া গিয়েছিল। এই মহান নেতাকে পৃথিবীর সব দেশে নানা ভাবে স্মরণ করা হয়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে জাতির পিতার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, বই, চিত্রপ্রদর্শনী বিভিন্ন সময় করা হয়৷ বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে সারা বিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে’।

তিনি আরো বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি আমাদের নিজেদের শেকড় সম্পর্কে জানতে হবে। যার কারণে আমারা এই স্বাধীন বাংলা পেয়েছি, যার কারণে ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ স্বাধীন বাংলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সেই মহান নেতা সম্পর্কে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। হেমিলনের বাঁশিওয়া যেমন বাঁশি বাজিয়ে নগরীকে ইঁদুর মুক্ত করেছিলেন তেমনি বঙ্গবন্ধু এমন এক বাঁশি বাজালেন যেই বাঁশিতে পশ্চিম পাকিস্থানি ইঁদুরেরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মার খেয়ে মাথা নত করে এই দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। পাকিস্তানিরা বলত বাঙ্গালী ভিরু জাতি। সেই ভীরু বাঙ্গালীকে হাতে অস্ত্র তুলে পাকিস্তানি বাহিনীকে হারিয়ে দিতে যিনি তাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করেছিলেন তিনি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির এক হৃদয় নিংড়ানো আবেগের নাম। যে নামের সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালি জাতিসত্ত্বার উন্মেষ, বিকাশ এবং স্বাধীনতা। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একটি জমজ শব্দ। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মনে ধারণ করতে হবে। তাহলেই আমরা তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে’।

আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবু বলেন, বিদেশিরা যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে, আমরা তাকে সেভাবে সম্মান করতে পারি না।‌ কারণ আমরা তাকে বিভক্ত করি। আমি অনেক রাষ্ট্র ঘুরেছি, কোন রাষ্ট্রে দেখি নি, তাদের জাতীর পিতাকে বিভক্ত করেছে।‌ কিন্তু আমরা দলীয় ভিত্তিতে জাতির পিতাকে বিভক্ত করি।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পূর্ব লন্ডন শহরের টাওয়ার হ্যামলেটের সিডনি স্ট্রিটে ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ আবক্ষ ভাস্কর্যটি স্থাপিত হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: