দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন শাখার ঠেলাঠেলি

ববিতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা: শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে

আবু যায়েদ মিয়া, ববি প্রতিনিধি | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩৫

সংগৃহীত

সামান্য বৃষ্টিতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে খেলার মাঠ, রাস্তা ব্যাংক ও মূল ফটকের সামনেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানান ভোগান্তিতে পড়ছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা ছাড়াই চারপাশের রাস্তা উঁচু করা, অপরিষ্কার অপরিছন্ন রয়েছে হাটা চলার স্থান গুলো এবংউচু- নিচু জমির কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিবছর এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন কার্যকারী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রমজান জানান, বৃষ্টির মধ্যে ক্যাম্পাসের ব্যাংকের ও গ্রাউন্ড ফ্লোরে যাবার রাস্তায় খাল সমান পানি।পানির এই জলরাশি গ্রাউন্ড ফ্লোরের সামনেও আছে, পা পিছলে পড়ে পা পা ভাঙ্গার সম্ভাবনাও আছে৷ কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলের সুবিধার্থে রাস্তা উচু করে যাতায়তের সঠিক পরিবেশ তৈরী করা৷
দুই হলের মাঝের রাস্তাটাও চলাচলের অনুপযোগী

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রৌকশল অনুষদের শিক্ষার্থী ফাহিম আলম বলেন,খেলাধুলা আমাদের শরীর আর মন ঠিক রাখার জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ টা ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৯০০০+ শিক্ষার্থীর জন্য একটাই মাত্র খেলার মাঠ ৷ যেখানে আমাদের নূন্যতম ৩/৪ টা খেলার মাঠের দরকার । একমাত্র মাঠটার প্রতিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের যত্ন নেয়া হয় না।

বছরের প্রায়সময়ই ঘাস বড় হয়ে যায়, যেগুলোর যথাযথ পরিষ্কার পরিছন্ন করা হয় না ৷ প্রশাসনকে না জানালে নিজ উদ্যোগে তারা মাঠ সংস্কারের কাজের কথা ভাবেন ও না।উল্টো, গতবছর খেলার মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না করেই চারপাশের রাস্তা অপরিকল্পিতভাবে উঁচু করে দেয়া হয়েছে।

যার ফলে ২/১ দিন বৃষ্টিপাত হলেই মাঠে পানি জমে থাকে।আগামী ১৭,১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বরে ঢাকায় আমাদের বঙ্গবন্ধু ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ এর ৩টি ম্যাচ রয়েছে,মাঠে পানি জমে থাকায় আমরা প্র‍্যাকটিসও করতে পারছি না।

খেলার মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যাবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়ন করার জন্য প্রশাসনের সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বাড়ানোর ও জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপ প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদিনের সাথে কথা হলে প্রথমে তিনি বলেন, স্টেট শাখার কার্যক্রম এটি৷ স্টেট শাখার কর্মকর্তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমাদের কাজ ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিছন্ন করা৷ পরবর্তীতে মুরশিদ আবেদিনকে ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলেন এবং ভিসি স্যারকে বলেন৷



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: