শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে কুবির নজরুল হল প্রাধ্যক্ষ

কুবি প্রতিনিধি | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৫২

সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে কুবির নজরুল হল প্রাধ্যক্ষ

কুবি প্রতিনিধি:

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ( কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের শাখা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় দাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে৷

শুক্রবার (৯ই সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া দাওয়া পাল্টা দাওয়া গড়িয়েছে শনিবার(১০ই সেপ্টেম্বর) বিকাল পর্যন্ত। এতে আহত হয় অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী। এসময় কাজী নজরুল ইসলাম হল প্রশাসনের কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হলে অবস্থান করা সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার ৩য় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে প্রাধ্যক্ষ মিহির লাল ভৌমিক পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পরেন। এসময় শিক্ষার্থীদের উচ্চবাক্য করতেও দেখা যায়।

এর আগে শুক্রবার (৯ই সেপ্টেম্বর) রাতে দুই হলের নেতাকর্মীদের মাঝে ২য় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য প্রক্টোরিয়াল বডি থেকে দুই হল প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মোকাদ্দেস উল ইসলাম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলেও কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ এবং পাঁচ হাউজ টিউটরের কেউই উপস্থিত ছিলেন না৷ ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরে রাত ২ টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন একজন হাউস টিউটর। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নজরুল হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আহসানুল হক শিপন বলেন, এমন ভয়াবহ এক মুহূর্তে হল প্রশাসনের কেউই আমাকে সাথে নেই৷ এতোজন হাউজ টিউটর আছেন কেউ নেই। প্রশাসন কিভাবে এতোটা অসর্তক হতে পারে?

দুই হলের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রক্টোরিয়াল বডি নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হলের সকল শিক্ষার্থী হলে ঢুকিয়ে গেইটে তালা লাগিয়ে চাবি হল প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্তু নজরুল হলের প্রশাসন থেকে প্রক্টোরিয়াল বডি কোনোধরণের সহযোগিতা পায়নি।

কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ মিহির লাল ভৌমিকসহ অন্যান্য হাউস টিউটরদের প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকরা একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি।

এসব ক্ষোভ প্রকাশ করে নজরুল হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, কেমন হল প্রশাসনের অধীনে আছি! শিক্ষার্থীদের বিপদের সময়ও যাদের ঘুম ভাঙ্গে না।
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রাধ্যক্ষের হল পরিচালনা নিয়ে দায়সাড়া কাজ করছেন। আজকের ঘটনা তার প্রমাণ। উনি নিয়মিত হল পরিদর্শনে আসেন না৷ শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধার খোঁজ রাখেন না৷ শিক্ষার্থীদের ভালোমন্দ নিয়ে যদি ভাবতেন তাহলে আজকে এমন কঠিন সময়ে উনাকে আমরা কাছে পেতাম৷ আমরা কার কাছে আমাদের সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরব? সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন দায়িত্ব কর্তব্যহীন হল প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেন।

এবিষয়ে প্রাধ্যক্ষ মিহির লাল ভৌমিকের সাথে পুনরায় যোগাযোগ করা হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফিরতি কোনো ফোন বা ক্ষুদেবার্তা পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, প্রাধ্যক্ষের সাথে আমার কথা হয়েছে। উনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। বাকি হাউজ টিউটর রা কেন উপস্থিত ছিলেন না সে বিষয়ে জেনে আমরা বিষয়টার সমাধান করব।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: