চা শ্রমিকদের মজুরি ন্যূনতম ৩০০ টাকা বৃদ্ধি ও তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার(২৭ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলকের পাদদেশে জালালাবাদ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বৃহত্তর সিলেটের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানায় তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা, 'বাঁচতে হলে দেশের অর্থনীতি, বাড়াতে হবে চা শ্রমিকদের মজুরি', 'বাগান ভরা চায়ের পাতা, পেট ভরে না পাই যে ভাতা', 'লতা-পাতা ব্যাঙের ছাতা খাই', রক্ত ঘামের লাভের পাতা হাঙর পেটে যায়', 'বৈষম্য নিপাত যাক, ৩০০ টাকা মজুরি পাক', 'দুটি পাতা একটি কুড়ি, মজুরি চাই ১৫ কুড়ি' সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সিলেটের চা শ্রমিকদের আধুনিক যুগের জীবন্ত ক্রীতদাস বললেও ভুল হবেনা। তারা নিয়মিত খাদ্য চাহিদা পূরন করতে পারেনা। তাদেরকে শিক্ষা এবং চিকিৎসা হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। প্রায় সব ধরনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও একজন চা শ্রমিকের মজুরি ১২০ টাকা এটা হাস্যকর। ১২০ টাকা দিয়ে দুইবেলা ভাত খাওয়া সম্ভব হয়না। অসংখ্য শ্রমিক না খেয়ে কাজ করতে যায়। অনেক শ্রমিক ১২০ মজুরিও পায় না। দিনে ২৪ কেজি চা না তুলতে পারলে মজুরি ১২০ টাকার ও কম দেওয়া হয়। ভারতে চা শ্রমিকদের মজুরি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এমনকি পঞ্চগড়েও ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা শ্রমিকের মজুরি সেখানে সিলেটে মাত্র ১২০ টাকা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৩০০ টাকা মজুরি ন্যায্য দাবি। আমাদের অর্থনীতির অন্যতম উৎস এ চা খাতকে উন্নতি করতে হলে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কামিল আহমদের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: