রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ আগষ্ট) জুবেরি ভবনের মধ্য লাউঞ্জে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস 'অশ্রু ডানায় সূর্য খোঁজার পালা’ নামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল খালেক বলেন, , 'বঙ্গবন্ধু রাজশাহীতে তিনবার এসেছেন। আমি বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে তাকে দেখেছি। ৬ দফা ঘোষণার পরে বঙ্গবন্ধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তখন মাযহারুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার বিশ্লেষণ করতে শিক্ষকদের ডাকেন কিন্তু শিক্ষকরা সেদিন সাড়া দেননি।পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা শহীদ মিনার ধ্বংশ করে দেয়। তারা ভাবে শহীদ মিনার ধ্বংস করলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ধ্বংস করে ফেলা যাবে। তারা বোকার স্বর্গে বাস করতো। তারপর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বর্তমান শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার দেশপ্রেমকে হত্যা করতে পারেনি। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, তারা শুধুই তার দেহটাকে হত্যা করেছে। তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। আর বঙ্গবন্ধুর যারা রাজনৈতিক গুরু ছিল তারা কিন্তু জাতির পিতা হতে পারেনি। তবে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা উপাধি পেয়েছেন। এদিক থেকে বঙ্গবন্ধু ভাগ্যবান।
তিনি আরও বলেন, দেশে মরণোত্তর পুরষ্কার দেওয়া হয়, তবে মরণোত্তর তিরষ্কার কেন করা হবে না! আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো তাদের চিহ্নিত করে মরণোত্তর বিচারের আওতায় আনা হোক।
লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাবির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ নূরুল্লাহ, রাজশাহী জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও রাবির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.ফায়েকুজ্জামান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. বনি আদম সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: