ওয়েবমেট্রিক্স র‍্যাংকিংয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দ্বিতীয় নোবিপ্রবি 

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: | ১৪ আগষ্ট ২০২২, ০৫:১০

সংগৃহীত

স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্সের বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং জুলাই ২০২২ সালের প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি)। এছাড়া র‌্যাংকিংয়ে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ১১তম। 

স্পেনভিত্তিক ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিএসআইসির সাইবারম্যাট্রিক্স ল্যাবের জুলাই মাসের সংস্করণে এই র‌্যাংকিংয়ে প্রকাশ করেছে। র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ১৭১টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। 

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং তৈরিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সাম্প্রদায়িক সন্নিবেশ অর্থাৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে ওয়েবোমেট্রিক্স। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক এবং তাদের প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে এটি তৈরি করে ওয়েবমেট্রিক্স। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ৫০ শতাংশ, টপ সাইটেড গবেষকদের ১০ শতাংশ এবং টপ সাইটেড প্রবন্ধ ৪০ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে র‍্যাংকিং তৈরি করে এ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বের প্রায় ৩১ হাজারের অধিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় বিশ্বে ২ হাজার ৭৬৯ তম অবস্থানে রয়েছে নোবিপ্রবি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, র‌্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে নোবিপ্রবি এটা আমাদের জন্য আনন্দের। বর্তমান উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় নোবিপ্রবি শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। করোনাকালীন সময়েও আমাদের অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চলমান ছিলো। আগামীতেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় গবেষণার মাধ্যমে র‍্যাংকিংয়ে নোবিপ্রবি আরও উন্নতি করবে বলে আমরা আশাবাদী। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় যে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তার আরেকটি প্রমাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মরত সবার অংশগ্রহণের ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো এগিয়ে নিতে গবেষণার সুযোগ আরো বাড়াতে চাই। 

উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে ওয়েবোমেট্রিক্স নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি বছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তারা এ র‍্যাংকিং প্রকাশ করে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: