রাবিতে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ

আসিফ আজাদ সিয়াম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | ১৩ আগষ্ট ২০২২, ০০:৫০

সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সামনের 'গ্রামীন টেলিকমের' ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে দোকানে মহিলা থাকায় জোড় করে তারা টাকা নেন বলে জানা যায়।

অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখার সভাপতি রাশেদ খান ও হবিবুর রহমান হলের সহ-সভাপতি সোহাগ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর দেড়টার দিকে একজন মহিলা মোবাইল রিচার্জের জন্য দোকানে ঢুকে পড়ে। এসময় অভিযুক্ত সোহাগ দোকানে মহিলা আসার কথা বলে ঝাপ নামিয়ে দেন। এরমধ্যে জিয়া হলের সভাপতি রাশেদ এসে ভুক্তভোগীকে হুমকিধামকি দিয়ে টাকা দাবি করে। তবে পাশের দোকান থেকে একজন দুই-তিন হাজার টাকায় মীমাংসার কথা বললে তিনি রাজি হয় না। পরবর্তীতে তিনি ৫০ ওই দোকান থেকে ৫০ হাজারের মতো টাকা ছিনিয়ে নেয়। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিয়া হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, "ঘটনার সময় আমি পাশের দোকানেই ছিলাম। ওরা(অভিযুক্তরা) এসে তার সাথে ঝামেলা শুরু করে। আমরা কয়েকজন প্রক্টরকে ফোন দিতে চাইলে বলে আগে কিছু কট দিয়ে নিই। এরপর রাশেদ এসে পকেটে টাকা ভরে নিয়ে হবিবুর হলে চলে যায়।"

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি রাশেদ বলেন, আমি দুপুরে খাওয়ার জন্য হলের নিচে আসি। আসার পর দেখি ওই দোকানের সামনে গ্যাঞ্জাম। সেটি হলো দোকানের ভিতর মেয়ে থাকা সিনহা ও সোহাগ মিলে দোকানীকে আটকে রেখেছে। আমি সেখানে যাওয়ার ১ মিনিটের মধ্যে সহকারী প্রক্টর এসে তাদের নিয়ে যায়। আমি কোনো টাকা নেইনি।"

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দোকানী সেলিম বলেন, আমার দোকানের পাল্লা খোলা থাকে। ওই মহিলা মোবাইল রিচার্জ করতে এসে ভিতরে চলে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে সোহাগ নামের একজন আসে। আর দোকানে মহিলা থাকায় হুট করে ঝাপ নামিয়ে দেয়। পরে তার বন্ধুদের আসতে বলে আমাকে আটকে রাখে। এসময় রাশেদ এসে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। প্রথমে দুই-তিন হাজার টাকা দিতে চাইছিলাম। কিন্তু তিনি জোর করে ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই টাকা নেয়ার বিষয়টি একটু আগে জানলাম। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লিখিত কোনো অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। এছাড়া দোকানীর বিরুদ্ধে যে নারীঘটিত বিষয়ে অভিযোগ সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: