রাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

আসিফ আজাদ সিয়াম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় | ৩১ জুলাই ২০২২, ০০:৩৪

সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে নগরীর ধরমপুরে অবস্থিত ভাড়া বাসা থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মোছা. রিক্তা আক্তার (২১) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। রিক্তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে। স্বামী আব্দুল্লাহ ইসতিয়াক রাব্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে। স্বামীর সাথে ধরমপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।

উদ্ধারের পর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার সকাল দশটায় মৃতের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী ও স্বামীর বন্ধুকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

রিক্তা খাতুনের সহপাঠী আহসান হাবীব আদনান জানান, বিষয়টা জানার পর রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়েছিলেন। এসময় তার সামনেই পুলিশ রিক্তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রিক্তার স্বামী জানান, কিছুদিন যাবত রিক্তা অন্য একজনের সাথে ফেক আইডি ব্যবহার করে কথা বলছিল। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া চলছিল।

রাব্বি জানান, শুক্রবার বিকেলে তাদের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে রাব্বি বাসার বাইরে চলে যায়। এরপর সন্ধ্যায় বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত বারোটার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, রিক্তা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। ডাকাডাকি করার পর জানলার পাশে গিয়ে দেখেন, রিক্তা জানালার গ্রিলের সাথে ফাঁস দিয়েছেন। নিজে ফাঁস খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে, পাশের বাসা থেকে বন্ধুকে ডেকে আনেন। তারা রিক্তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, আমি গতকাল রাতে এ বিষয়ে জানার পর হাসপাতালে গিয়েছি। মেয়েটির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। এখন ময়নাতদন্ত চলছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, মৃতের স্বামী ও স্বামীর বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের হেফাজতে রেখেছি। এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: