রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা: জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা !

রাবি সংবাদদাতা | ২৮ জুলাই ২০২২, ০৫:৪৫

সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালেয়ে কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রক্সি দিতে আসা চার জন এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রামমান আদালত।

এদের মধ্যে রাবির ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের বায়োজিত খান নামে এক শিক্ষার্থী রয়েছে। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় করা একটি ভিডিও মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ভিডিওতে দেখা যায়, তাকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে কার নির্দেশে সে প্রক্সি দিতে এসেছেন। তখন সে তন্ময়ের নাম বলছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি আরোও বলেন, প্রক্সি দিতে সকালে ক্যাম্পাসে এসেছেন। প্রক্সি দেওয়ার পূর্বে তিনি তার ব্যক্তিগত ফোন তন্ময়ের কাছে জমা রেখেছিলেন। তন্ময় শাহমখ্দুম হলের দ্বিতীয় তলায় থাকেন। 

জানা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি প্রক্টর দফতরের জিজ্ঞাসাবাদের সময় করা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রক্সি জালিয়াতিতে ধরা পড়া বায়েজিদ একেক সময় একেক নাম বলেছেন। একাধিক নাম এসেছে। সেখানে মুশফিক তাহমিদের নামও বলেছেন। এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দেখবে। তাঁরা এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহমখ্দুম হলের দ্বিতীয় তলায় থাকে ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। প্রক্সির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বায়োজিদ ও তন্ময় দুইজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য, সিট বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠে। এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে একাধিকবার ফোন করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ নিয়ে আমি আমার সভাপতির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবহিত করব। 

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: