গবিতে বাংলাদেশের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কিত সেমিনার

গবি প্রতিনিধি | ২৬ জুলাই ২০২২, ২১:৫৫

সংগৃহীত

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) ‘একজন নাগরিকের দৃষ্টিতে-বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ বাজেটের তদবির ও গতানুগতিকতাঃ নেই সুষ্ঠ নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নিদের্শনা’ শীর্ষক প্রস্তাবনা নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন। সম্প্রতি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও তদারকি কমিটির সভাপতি ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চলতি অর্থ বছরের বাজেট নিয়ে এই প্রস্তাবনা পেশ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ। এরপর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রস্তাবিত বিষয়ের উপর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন। 

বিষয়টির উপর সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আতাউর রহমান খান। সেমিনারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবনার অর্থনৈতিক দিক তুলে ধরেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক শামীমা সুলতানা। 

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সরকার একদিকে শিক্ষা খাতকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন আর অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ১৫ শতাংশ করারোপ করেছেন, যা শিক্ষার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি কর আরোপ করতেই হয় তাহলে এমপিওভুক্ত ও সরকারী স্কুল এবং কলেজের বেসরকারি ফান্ডে যে কোটি কোটি টাকা রয়েছে সেটার উপর করারোপ করতে হবে। এছাড়া বড় হাসপাতালকে ১০ বছর আয়করমুক্ত রাখা ও অন্যদিকে ছোট ছোট হাসপতালগুলোর যন্ত্রপাতি আমদানির উপর অধিক কর ধার্য সরকারের দ্বিমুখী নীতি ও চিকিৎসা সেবার পথে অন্তরায়।

রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ড. মোঃ আলী আজম খান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবনার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের মামলার আধিক্য কমাতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিচারপতিদের ছুটি কমানোর এবং দ্রুত বিচার সম্পাদনার জন্য গ্রাম আদালতের উপর জোর দিয়েছেন। এতে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ ঘটবে বটে কিন্তু গ্রাম আদালতে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ নিরপেক্ষ বিচারিক কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবে কি সেটি বিবেচ্য বিষয়। 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনলাইনে সেমিনারে অংশ নিয়ে বলেন, একটি জাতির বিকাশ ঘটে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিনোদনের মাধ্যমে। অথচ বর্তমান বাজেটে বিনোদন সংস্কৃতিতে বরাদ্দ মাত্র ০.৮%। জনগণের জন্য যে বাজেট, সেই বাজেট সম্পর্কে তাদেরই কোন ধারণা নেই। বাজেট অনুমোদনের আগে জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, শিক্ষকগণ আলোচনায় অংশ নেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: