বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযানে হাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থী

মশিউর রহমান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি | ১৬ জুন ২০২২, ১২:২৮

সংগৃহীত

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এর ভেটেরিনারী এন্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদের তিন শিক্ষার্থী দেশি প্রজাতির ৪টি কচ্ছপ উদ্ধার করে মুক্ত পরিবেশে উমুক্ত করে দেয়।

গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) দিনাজপুর সদরের লিলির মোড়ের একটি অ্যাকুরিয়ামের দোকান থেকে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় ইন্ডিয়ান রুফেড টার্টেল প্রজাতির ৪টি বাচ্চা কচ্ছপ উদ্ধার করে হাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থী। কড়ি কাইট্টা নামে পরিচিত কচ্ছপটির বৈজ্ঞানিক নাম হলো Pangshura tecta। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্স অনুষদের সেই তিন শিক্ষার্থী হলো ১৯ ব্যাচের কামরুন নাহার কনা, ২১ ব্যাচের উসমান গনি হামিম ও কামরুল ইসলাম। উদ্ধারের পরদিন বুধবার (১৫ জুন) ৪ টি কচ্ছপের বাচ্চাকে দিনাজপুরের ঢেপা নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এসময় তাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন অ্যানাটমি এবং হিস্টোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: নাজমুল হাসান পারভেজ।

তিনি বলেন, আমি এই মহৎ কাজে সম্পৃক্ত হতে পেরে নিজেকে খুব গর্বিত অনুভব করছি। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বন ও প্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের সঠিক ভারসাম্যের প্রয়ােজন। শিক্ষার্থীদের এমন মহৎ কাজকে আমি সাধুবাদ জানায়। এসব কাজে আমি যতটুকু পারি তাদের সহযোগীতা করার চেষ্টা করবো।

১৯ ব্যাচের কামরুন নাহার কনা বলেন, বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমি শুধু আমার দায়িত্ববোধ থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। আমি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আরো কাজ করে যেতে চায়। এটা নিয়ে আমার সামনে আরো পরিকল্পনা আছে। ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ বাংলাদেশের সহায়তায় সাপ গুলোকে উদ্ধার করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী উসমান গনি হামিম বলেন, আপুর সহচার্যে এমন কাজে অংশ নিতে পারে অনেক ভালো লাগছে। পরিবেশ রক্ষায় এভাবে আপুর সাথে কাজ করে যেতে চায়।

২১ ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, আমার অনেক দিনের ইচ্ছা বন্যপ্রানী ও পরিবেশের জন্য কিছু করার। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এমন সুযোগ পেয়ে সত্যি আমি আনন্দিত। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আরো কাজ করে যেতে চায়।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে কাছিম বর্গের মোট ৫টি পরিবারে মোট ২৯ টি প্রজাতি রয়েছে। এই ২৯ প্রজাতির কচ্ছপের সবগুলোই ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনানুযায়ী সংরক্ষিত।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: