বঙ্গবন্ধুর খুনী রশীদের মেয়ে মেহনাজ রশীদকে গুলশান ক্লাবে নিয়োগ দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি মেহনাজ রশীদকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাকুরীচ্যুতসহ নিয়োগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন স্বাক্ষরিত এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ (৪ জুন শনিবার) এই দাবি জানানো হয়েছে। প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে যে, "সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনী কুলাঙ্গার খন্দকার আব্দুর রশীদের মেয়ে খন্দকার মেহনাজ রশীদকে গুলশান ক্লাবের ডিজিএম এডমিন পদে নিয়োগ দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
খুনী রশীদের মেয়ে মেহনাজ রশীদ ২০০৯ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য এবং বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসকে হত্যাচেষ্টার মামলার অন্যতম আসামী হিসেবে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দীর্ঘদিন পাকিস্তানে পলাতক থাকার পর গোপনে দেশে ফিরে গুলশান ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ পদ ডিজিএম এডমিন পদে চাকুরী নেন। গুলশান ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সম্পর্কে সবকিছু জানার পরেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মেহনাজ রশীদকে নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রকৃত চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীর পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার অপরাধে নিয়োগ কর্তৃপক্ষকেও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দুই দফায় ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া কুলাঙ্গার রশিদসহ পাঁচ খুনী এখনো পলাতক। পাকিস্তান থেকে গোপনে দেশে ফিরে গুলশান ক্লাবে গত বছরের অক্টোবরে ডিজিএম এডমিন পদে চাকরি নেন মেহনাজ রশিদ। ক্লাবটির সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমানের মেয়াদের শেষ সময়ে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর একজন খুনীর মেয়ে উচ্চপদে চাকরি নিলেও ক্লাবটির সাবেক ও বর্তমান কমিটির কেউ তার চাকরির বিষয়ে প্রশ্ন তোলেননি। ফলে বীরদর্পেই মেহনাজ আট মাস ধরে সেখানে চাকরি করছেন। গতবছর গুলশান ক্লাব থেকে ‘দি ক্লাব দি প্রেসিডেন্ট’ নামে একটি বই প্রকাশ হয়। এই বইটির সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন মেহনাজ রশিদ।
সরকারের নিকট দাবি, অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী কুলাঙ্গার রশীদের মেয়ে মেহনাজ রশীদসহ নিয়োগ কর্তৃপক্ষ গুলশান ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমানকে আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে গুলশান ক্লাব কর্তৃপক্ষের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র খতিয়ে দেখে প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনী কুলাঙ্গার রশীদের মেয়ে মেহনাজ রশীদকে চাকুরীচ্যুতসহ গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় গুলশান ক্লাব ঘেরাও করে বঙ্গবন্ধুর খুনী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসরদেরকে সমুচিত জবাব দিবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: