'আমি পজিটিভিটিতে বিশ্বাস করি'- কুবি উপাচার্য 

কুবি প্রতিনিধি | ৩১ মে ২০২২, ০৬:২০

সংগৃহীত

"আমি পজিটিভিতে বিশ্বাস করি, নেগেটিভিটি ছড়িয়ে কখনও সফল হওয়া যায় না।" কলা ও মানবিক অনুষদ কতৃক আয়োজিত 'সমকালীন সাহিত্য প্রসঙ্গ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন। 

তিনি আরও বলেন, আমি ইদানিং খুব কম কথা বলার চেষ্টা করি কারণ আমি কিছু বললেই অনেকে সেটি কোট করে নেগেটিভিটি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমি কি বুঝাতে চেয়েছি সেটি আর তাদের নজরে আসছে না। আমি গবেষণায় জোর দেওয়ার কথা বলেছি। সেটি নিয়েও নেগেটিভিটি ছড়ানো হচ্ছে।  

সমালোচনাকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, যারা এসব নেগেটিভিটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, আমার সমালোচনা করছেন তারা শুধু আমাকে নয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করছেন। ফাঁকা মুক্তমঞ্চের ছবি ব্যবহার করে বলেছেন সাদামাটা উৎযাপন, কিন্তু সবাই মিলে শোভাযাত্রা করলাম আনন্দের সাথে সেটি আর বললেন না। সমালোচনা করতে চাইলে সবকিছুতে সমালোচনা করা যায়, প্রশ্ন তোলা যায়৷ সবকিছুতে নেগেটিভিটি খুঁজতে নেই৷ 

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে দেখতে পাবেন, তারা গবেষণায় জোর দিয়েছে বলেই তারা বিশ্বে জায়গা করে নিয়েছে৷ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যদি বিশ্বে জায়গা করে নিতে চায়, তাহলে গবেষণার বিকল্প নেই৷ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে গেলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব। 

অনুষ্ঠানে সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দসল উল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড এম এম শরিফুল করিম। কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড মো. গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড মো. আসাদুজ্জামান। 

কোষাধ্যক্ষ তাঁর বক্তব্যে বলেন, উপাচার্য মহোদয় এসেছেন ৩/৪ মাস হয়েছে। উনি ইতোমধ্যে উনার স্বদিচ্ছার কথা জানিয়েছেন। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময়ের প্রয়োজন সহযোগিতা প্রয়োজন৷ গবেষণা ধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়, একাডেমিক অগ্রগতিতে আমরা ভূমিকা রাখতে চাই। 

উপ উপাচার্য তারঁ বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাড়ে ১৬ শ কোটি টাকার প্রকল্প দিয়ে আমরা আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সময় মতো শেষ করতে পারব। এক সময় আমাদের অবকাঠামোগত নানান ধরণের সমস্যা ছিল। এখন সময় এসেছে মান উন্নয়নে কাজ করা৷ মান উন্নয়ন ছাড়া শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে আমরা বিশ্ব মানের হতে পারব না। 

অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: