কুবিতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উদযাপন

তাসফিক আবদুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি | ১৫ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৪৬

ছবিঃ সংগৃহীত

রাত পোহানোর সাথে সাথেই শেষ হয়েছে চৈত্রসংক্রান্তি। সকাল থেকেই বাঙালি বরণ করে নিচ্ছে তাদের সংস্কৃতির বৃহত্তম উৎসব “পহেলা বৈশাখ ১৪২৯”। সারাদেশের মত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েও (কুবি) বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। তবে পবিত্র মাহে রমজানের কারণে অন্যান্য বছরের তুলানায় এবারের আয়োজন ছিল স্বল্প পরিসরে।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনটিকে বরণ করে নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেছ-উল-ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন,শিক্ষক, শাখা ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমাদের বাঙালি জাতির অস্তিত্বের যে জায়গাটা সেটা হচ্ছে বাঙালির সংস্কৃতি। ধর্মীয় পরিচয়ে আমরা অনেকে অনেক ধর্মে বিশ্বাসী হলেও বাঙালি সংস্কৃতির সাথে এই ধর্মের কোনো বিরোধ নাই। ধর্ম এবং সংস্কৃতি এটা সব সময় পাশাপাশি থেকেছে। যারা আজকে ধর্মের নামে বিভিন্ন সমালোচনা করে আমাদের অস্তিত্বে আঘাত করতে চায় সে দিকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা যে বাঙালি এটাই হচ্ছে আমাদের বড় পরিচয় এবং আমরা এই বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে বিশ্ব দরবারে আরোও অনেক দূর এগিয়ে যাবো।

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা নিজেদের সংস্কার ও উন্নতি করতে চাই। বাংলাদেশকে পৃথিবীর মানচিত্রে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে এবং একটি মডেল রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই। বাংলাদেশ সরকারের শক্তিকে আমরা শক্তিশালী করি এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আমরা গঠন করি। এই সংস্কৃতির মাধ্যমেই সেই স্বপ্ন বাস্তবতায়ন করা সম্ভব। এই সংস্কৃতি পালনের মাধ্যমেই সেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাওয়া সম্ভব।

উল্লেখ্য, বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহযোগিতায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র গ্রাফিতি সংগঠন বৃত্ত কুবি'র উদ্যোগে গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু করে গোল চত্ত্বর পর্যন্ত আকাঁ হয়েছে আলপনা। তাছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা হয়েছে নানা ধরনের প্লেকার্ড।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: