ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘ধর্মান্ধ’ বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ

ঢাবি প্রতিনিধি | ৮ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৪০

বিক্ষোভ সমাবেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক্যাম্পাসে ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর অপতৎপরতার প্রতিবাদে’ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সভাপতি আন নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

সমাবেশে জয় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কোনো চুনপুটি যদি মনে করে তারা অনেক কিছু করে ফেলেছে, তাদের ধারণা ভুল। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মৌলবাদী গোষ্ঠীকে কখনই মেনে নেবে না। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম বলেছিলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম। যদি আপনারা মনে করেন ধর্মকে পুঁজি করে এগিয়ে যাবেন সে সুযোগ আমরা দেব না। শর্টকার্ট টেকনিকে বেহেস্তে যাওয়া যাবে না।

তিনি আরো বলেন, যারা শর্টকাট টেকনিকে মানুষ মারে। মানুষকে মারার কৌশল শিখিয়ে যারা মনে করে বেহেস্তে যাবে। তাদের বলতে চাই তোরা লুকিয়ে লুকিয়ে কেন নেতৃত্ব দেস। সামনে এসে নেতৃত্ব দে, দেখি তোদের কত সাহস। চোরাগুপ্তা হামলা করস দেখি তোদের কত সাহস।

লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে কোনো ধর্মীয় রাজনীতি, মৌলবাদী গোষ্ঠী বিগত দিনেও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তারা বিষয়গুলো জানতে পেরে একেক সময় একেক লেবাস ধারণ করে একেকটি ব্যানার ব্যবহার করে ধর্মকে ব্যবহার করতে চায়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনদিনই পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে দেবে না। এই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ পরিষদ স্বীকৃত সংগঠনের বাইরেও ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন ধরনের সংগঠন গড়ে উঠছে। এদেরকে প্রকান্তরে ছত্রছায়া দিচ্ছে ঢাবি প্রশাসন। বারবার বলার পরেও এই মৌলবাদীদের প্রশাসন আস্কারা দিচ্ছে। প্রশাসনের এই ধরনের কর্মকাণ্ড আমাদের হতাশ করেছে।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যারা শিক্ষার্থী অধিকারের নামে সংবাদ সম্মেলন করছে, রাজুতে সমাবেশ করছে, প্রেজেন্টেশন কীভাবে হবে সেরকম ফতোয়া দেখানোর হিম্মত দেখাচ্ছে। এটি আমাদের হতবাক করেছে। বর্তমানে ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাজনীতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা কাবুলে ক্লাস করছি নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করছি এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। এসব মৌলবাদী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব।

সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক বর্তমান নেতাকর্মী, বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: