রাবিতে সিট বাণিজ্যের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

রাবি প্রতিনিধি | ৮ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৫০

ছাত্রলীগ নেতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হলে এক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। 

বুধবার (০৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হলের ৩৩৩ নাম্বার কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী এখলাস উদ্দিন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হচ্ছেন মাদার বখশ হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শাফাতের অনুসারি। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, তিনি সপ্তাহ খানেক পূর্বে মাদার বখশ্ হলের ৩৩৩ নম্বর কক্ষে উঠেন । এরপর গত ৪ এপ্রিল বিকেলে ২০৮ নাম্বার কক্ষে তাকে ডেকে নেন হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অপু। পরবর্তীতে তার কাছে টাকা দাবি করেন এবং বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করেন। পরবর্তীতে গত বুধবার রাতে হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রিন্সের অনুসারি সোহেল রানাসহ ছাত্রলীগের ১৫জন নেতাকর্মী রুমে এসে তাকে সিট থেকে নামিয়ে দেয়। অন্য একটি ছেলেকে বেডে তুলে দেন। 

এখলাস উদ্দীন বলেন, অপু ভাই আমাকে বিভিন্ন রুমের (ডাবল, ফোর এবং সিঙ্গেল) সিটের মূল্য জানান। সিট খালি হলে টাকা দেখন উল্লেখ করে তিনি দ্রুত টাকা দাবি করেন। এমনকি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানাতে বারণ করেন। জানালে ঝামেলা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আজ (বুধবার) রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে আমাকে নামিয়ে দিয়েছে। আমার বেড সরিয়ে অন্য একটি ছেলেকে তুলে দিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, আশিকুর রহমান অপু দীর্ঘদিন মাদার বখ্শ হলে থাকতেন। ওই সময়ও তার বিরুদ্ধে সিট বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া তিনি মাদার বখ্শ হলের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শারাফাতের বেশ ঘনিষ্ঠ বলে ক্যাম্পাসে প্রচার আছে। সম্প্রতি ঘোষিত ছাত্রলীগের হল কমিটিতে তিনি শহীদ হবিবুর রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হবিবুর রহমান হলে থাকেন।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ওই হলে থাকি না ১৫ দিন হল। এ ধরনের অভিযোগ বানোয়াট, মিথ্যা। একটি চক্র আমাকে জড়িয়ে এ ধরনের নিউজ করাচ্ছেন। 

মাদার বখ্শ হলের সভাপতি প্রিন্স হামিম রেজা শারাফাত বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা হল প্রাধ্যক্ষসহ ওই শিক্ষার্থী সঙ্গে বসে ছিলাম। পরে সমাধান করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ শামীম হোসাইনকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: