বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে দেয়া বক্তব্য, গণমাধ্যমে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের এই শিক্ষক বলছেন তিনি কোনো ক্লাস নেননি৷
সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের সহ-সভাপতি হওয়ার জেরে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, কোনো ক্লাস নেওয়ার উদ্দেশ্যে না, আমি শিক্ষার্থীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ দেওয়ার জন্য ক্লাসের লিংক পাঠিয়েছিলাম৷ তারপর শিক্ষার্থীদের জয়েন করার জন্য ওয়েট করছিলাম। কিন্তু পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেটা আমি বন্ধও করে দেই৷ আমার বিরুদ্ধে একটি কথা এসেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কথা আমার মনে নেই। আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আমার মনে থাকবে না এটা তো হতেই পারে না৷
তিনি আরও বলেন, আমার ঠান্ডা, কাশি-জ্বর৷ আমি এমতাবস্থায় আসলে ক্যাম্পাসে আসতে পারতেছিলাম না। আমি তো আমার অন্য কলিগদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না।
শেষ সময়ে তড়িঘড়ি করে কোর্স শেষ করতেই তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের র্যালির সময়ে ক্লাস নিয়েছেন এমন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটাও একটা মিথ্যা কথা৷ বিভাগের অন্য কেউ যে আমার থেকে ফার্স্ট অবস্থানে বা আমি দেরি করে শুরু করছি, এমন কোনো সুযোগ নেই। আমি সব কাজের ভীড়ে আমার ক্লাসগুলো সবার আগে নেওয়ার চেষ্টা করি।
এদিকে যে ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তিনি ক্লাসের জন্য লিংক দিয়েছিলেন, সে ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকালকের ক্লাসটি কোনো আনুষ্ঠানিক ক্লাস ছিল না। ক্লাসে সবার উপস্থিতিও ছিলো না৷ ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী জানেও না যে এমন কিছু একটা হয়েছে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, স্যারের নয়টা টপিকের মধ্যে সাতটার মতো টপিকই শেষ। সেমিস্টার ফাইনাল শুরু হওয়ার আগে যে সময় আছে, তাতে এগুলাও শেষ করে দেওয়া সম্ভব৷ তাহলে তড়িঘড়ি কিভাবে হয়?
এছাড়া সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন এখনো ইনকোর্স শুরু করতে পারেননি বলে যে অভিযোগ গণমাধ্যমে এসেছে এই বিষয়ে ঐ শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ট্যুর ছিল বলে আমরা নিজেরাই স্যারকে মিডটার্ম পরীক্ষা পরে নিতে বলেছিলাম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: