সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের(গবি) আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আলামিন ইকবাল খান আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আইন বিভাগের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪.৩০ মিনিটে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানাধীন নিজ বাড়িতে প্রচুর পরিমাণ ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই মাহমুদ ইকবাল খান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি দীর্ঘদিন হতাশা ও কষ্টের মধ্যে ছিলেন। এই কষ্টের ভার নিতে না পেরেই তিনি এমন কাজ করেছেন।
আত্মহত্যার পূর্বে তিনি তার ছোট ভাই মাহমুদ ইকবাল খানের বরাত দিয়ে একটি চিঠি লিখে যান। চিঠির হুবুহু এখানে দেওয়া হলো- “ভাই আমার, জীবন আর চালাই নিতে পারছি না রে ভাই। আমার প্রতিটি মুহূর্ত যন্ত্রণার। মাহমুদ অনেক ভালোবাসি ভাই তোকে। আমাকে মাফ করে দিস। আমার সংসারটা শীলার বাবা, মা আর ওর ভাই নাহিদ শেষ করে দিছে।
আমার কলিজার টুকরা বউ নিয়ে গেছে ওরা। ভাই প্রতিদিনের এই যন্ত্রণা কষ্ট থেকে এটা ছাড়া উপায় ছিলনা।
ভাই আমার অসহায়ত্ব আর চোখের পানিও ওদের কাছে হাসি তামাশার মতো মনে হয়েছে। ভাই বাবুকে দেখে রাখিস। আর পারলাম না ভাই। একটু একটু করে মরার চেয়ে একবারেই মরে যাওয়া ভালো তাও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবো। আমার আব্বু, মাকে মাফ করে দিতে বইলো ভালো।”
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন করলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। কিন্তু, এ বিষয়ে এখন অব্দি থানায় কোনো মামলা হয়নি।
নিহতের বন্ধু অ্যাডভোকেট পলাশ বলেন, ইকবাল আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল। সব সময় হাসি-খুশি থাকতো। এরকম একটা কাজ অন্তত ওর দ্বারা আশা করা যায় না। এছাড়া ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জীবন যুদ্ধে হেরে গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। তবুও বলবো ওপারে ভালো থাকিস।
আজ বাদ আসর জানাজা শেষে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: