শহীদ দিবস উপলক্ষে হাবিপ্রবিতে নানা কর্মসূচি

মশিউর রহমান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি | ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১১:৫৪

ছবিঃ সংগৃহীত

একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উপলক্ষে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) প্রশাসন নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

উক্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ভাষা আন্দোলনের প্রভাব’ লেখা আহ্বান করেছে হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ (ছাপনিবি)। স্বহস্তে লিখিত রচনা আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর দুইটার মধ্যে পরিচালক, ছাপনিবি এর কার্যালয়ে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে জমা প্রদান করতে হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ বাংলা ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত থাকবে।

একুশে ফেব্রুয়ারি সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখ পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হবে শহীদ দিবসের কার্যক্রম। সকাল সাড়ে আটটায় শহীদের স্মরণে কালো ব্যাচ ধারণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র সংগঠন গুলো ধারাবাহিক ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবে।

এছাড়াও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বর্ণমালা লিখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা সমূহের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে সকাল ১১টায়। বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বঙ্গবন্ধু, ভাষা শহীদসহ সকল শহীদের স্মরণে বিশেষ দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে শেষ হবে দিবসের কার্যক্রম।

প্রসঙ্গত, বাঙালি একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছেন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ ২৬ জন।

২০০০ সালে ইউনেস্কো বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা এখন বিশ্বের বহু দেশে গভীর শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সাথে উদযাপন করা হয়।

উল্লেখ্য, কার্যক্রমসমূহে সকলকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অংশগ্রহণে বিনীতভাবে অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: