হাবিপ্রবি’র সঙ্গে যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্সের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

মশিউর রহমান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি | ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৮:৫৫

ছবিঃ সংগৃহীত

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এবং যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর মাঝে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে উক্ত সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. সাইফুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার এবং যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর চেয়ারম্যান জনাব বদরুল আলম খান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কামরুল হাসান খন্দকার, গ্রুপ ইন্সুরেন্স প্রধান মো. হারুন-উর-রশীদসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

সমঝোতা স্মারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার এবং যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কামরুল হাসান খন্দকার।

এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক এবং স্বাস্থ্যবীমা পলিসি গ্রহণ কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ বলেন, 'এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য চালু করা হয়েছে। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবীমা বাধ্যতামূলক নয়, তবে যারা বীমা করতে আগ্রহী তাদেরকে সুযোগ প্রদান করা হবে। উক্ত পলিসির আওতায় বাৎসরিক ২৭০/- (দুইশত সত্তর) টাকা হারে প্রিমিয়াম প্রদান করতে হবে। এর সুফল হিসেবে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় চিকিৎসা নিলে বছরে শিক্ষার্থী প্রতি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার (দৈনিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যয় ৫ হাজারের বেশি নয়) টাকা পাবে। বর্হিবিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী প্রতি বার্ষিক ব্যয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পাবে। যথাযথ তথ্যাদিসহ আবেদন সাপেক্ষে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এধরনের শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সার্বিকভাবে নির্দেশনা প্রদানের জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর স্যারকে ধন্যবাদ জানাই'।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশে বীমার যাত্রা শুরু হয়।

তিনি আরও বলেন, 'স্বাস্থ্যবীমা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হতে হবে। এধরনের উদ্যেগ গ্রহণের জন্য তিনি স্বাস্থ্যবীমা পলিসি গ্রহণ কমিটির সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পাশাপাশি তিনি যমুনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: