ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশেই হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। মহাসড়কটি ঢাকা - দিনাজপুরের সাথে রংপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যস্ততম একটি সড়ক এটি। এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, কাভার্ড ভ্যানসহ ভারী যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। তাই রাস্তা পারাপারে ঝুঁকি এড়াতে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
হাবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী যাদের মধ্যে অধিকাংশ পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধার অভাবে মহাসড়কের ওপারের মেসগুলোতে অবস্থান করছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একমাত্র বাজার (বাশেরহাট) এই মহাসড়ককে কেন্দ্র করেই অবস্থিত। যার ফলে ক্লাস-পরীক্ষা, খাবার ও কেনাকাটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজেও সকল শিক্ষার্থীসহ সবাইকে এই মহাসড়ক পারাপার করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ফটকই এই সড়কের পাশে হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলকেই।
সোশ্যাল সাইন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ অনুষদের শিক্ষার্থী সাবিহা ইসলাম বলেন, আমাদের অধিকাংশ মেসগুলো সব রাস্তার অন্য প্রান্তে হওয়ায় আমাদেরকে রাস্তা পার হতে বেগ পেতে হয়। এছাড়াও রাস্তার পাশে কোনো ফুটপাত না থাকায় হাঁটার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি থাকে। ইদানীংকালে গতিরোধকগুলো করায় কিছুটা সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে। তবে আশা করছি দ্রুত ফুটওভার ব্রিজ ও রাস্তার পাশে ফুটপাত নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ এর সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের স্পিড ব্রেকারগুলোর উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. ইয়াছিন প্রধান বলেন, অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, দিনাজপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। দিনাজপুর মহাসড়ক ৪ লেন হয়ে গেলে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে আসলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে। তবে খুব দ্রুতই রোড ক্রসিং, সিগন্যাল ও সর্তকবার্তা সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: