অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩৫ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলে দেওয়া হলো খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হলগুলো।
কুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক ইসমাঈল সাইফুল্যাহ বলেন, 'প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কুয়েটে ছেলেদের ৬টি, মেয়েদের একটিসহ মোট ৭টি হল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা গেছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় গত ৩ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সেইসঙ্গে জানানো হয়েছিল ওই দিন বিকেল ৪টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে। পরে সেই ছুটি দুই দফা বাড়িয়ে ৭ জানুয়ারি থেকে হল এবং ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয় প্রশাসন।
এর আগে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ ছুটির পর গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ক্যাম্পাস খুলেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দেশনা দৃঢ়ভাবে মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার মধ্যে; বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা বিধির ১২, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারাসমূহ এবং আবাসিক হলের নিয়মাবলি দৃঢ়ভাবে মেনে চলতে হবে। পূর্বানুমোদন ছাড়া শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রকার মিছিল, সভা-সমাবেশসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমসমূহ বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারসহ একাডেমিক এরিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বহির্ভূত যেকোনো ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার ইত্যাদি টানানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: