আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ফাঁস হওয়া অডিওগুলো সত্যি হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে এ কথা বলেন তিনি।
জাইমা রহমানকে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান যে মন্তব্য করেছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বা আপনারা দলের নেতা হিসেবে তার এই বক্তব্যকে কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, 'আমি পুরোপুরি তার বক্তব্য শুনিনি। তবে যতটুকু শুনেছি, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, এই ধরনের বক্তব্য কোনোভাবেই কাঙ্খিত নয়।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, মুরাদের বিষয় নিয়ে এখনো দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি। বিষয়টি আমরা দলের শীর্ষ পর্যায়ে অবহিত করবো। যে অডিওগুলো এসেছে এগুলো যদি সত্যি হয়, বানানো না হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সুপারিশ করবে।
এর আগে, তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন ও বর্ণবাদী মন্তব্য করায় বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুরাদ হাসানের পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধী দল বিএনপি। এছাড়া নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের কারণে তার পদত্যাগ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন নারী অধিকার কর্মীরাও।
এদিকে, চলমান এই সমালোচনার মধ্যেই ফেসবুকে মুরাদ হাসানের একটি টেলিফোন আলাপ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে একজন চিত্রনায়িকাকে নানা অশোভন কথাবার্তা ও হুমকি দিতে শোনা গেছে। এ ফোনালাপের সত্যতা গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করে সেটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন চিত্রনায়ক ইমন। তার ফোনে কল দিয়েই সেই চিত্রনায়িকার সাথে অশোভন কথা বলেন মুরাদ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: