সম্প্রতি বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য সংবাদের শিরোনাম হয়েছে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ। যার জন্য বিব্রত খোদ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। উক্ত তদন্ত কমিটি তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগেই ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ ওমান খান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তার আপত্তিকর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ও ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওমান বিবাহিত এক নারীর সাথে চ্যাটে আপত্তিকর কথাবার্তা বলছেন। এছাড়াও ভিডিও কলেরও একটি স্ক্রিনশট এবং তার অতি গোপনীয় কিছু ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
এ নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার কর্মকাণ্ডে উষ্মা প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমানকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কমিটি ভেঙ্গে দিতে একটা পক্ষ ষড়যন্ত্র করে আসছে অনেক আগে থেকেই। সম্প্রতি তার সভাপতি ও তাকে ঘিরে নানা অভিযোগ তুলে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে সেই শক্তিটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন নেতা জানান, "ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের এমন কাজে আমরা বিব্রত। আমাদের সময় আমরা একটা আদর্শ নিয়ে ছাত্রলীগ করেছি, দলকে ভালোবেসে দলের বদনাম হয় এমন কাজ থেকে বিরত থেকেছি। কিন্তু বর্তমান সময় নিজের আবেগের সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এমন খবরে আমরা অন্তরে খুব কষ্ট অনুভব করি।"
এদিকে, উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ফয়েজ ওমান খান কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সেখানে তিনি স্ক্রিনশট ও ছবিগুলা সুপার এডিট বলে দাবী করেছেন। এ ব্যপারে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: