রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেছেন, 'বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাকও আওয়ামী লীগ করতো, কিন্তু তার হৃদয়ে যে নিষ্ঠুরতা ছিল সেটা আমরা বুঝতে পারিনি। যদি বুঝতেই পারতাম তাহলে আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারাতাম না।'
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাটাখালি পৌর মেয়র আব্বাস আলীর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আয়েন উদ্দিন এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তার গ্রেপ্তার দাবি করে বক্তব্য দেন।
আয়েন উদ্দিন বলেন, 'খন্দকার মোশতাকের অনুসারীরা সুযোগ নিয়ে অনেক সময় অনেক ঘটনা ঘটায়। যেটা শুধু দলের না, দেশের জন্য লজ্জা ও দুঃখজনক।'
সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, আব্বাস আলীর এক ভাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। তারপরও কীভাবে আব্বাস আলী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং তার আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়েছিলেন।
এই প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য বলেন, 'কারও মনোনয়নে সংসদ সদস্যদের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকে না। আব্বাসের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'তৃণমূলের সুপারিশের ভিত্তিতে দলের উপজেলা কমিটি থেকে আব্বাসসহ আরও কয়েকজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। জেলা কমিটি সে নামগুলো যাচাই করে কেন্দ্রে পাঠায়। তারপরে আব্বাস আলী মনোনয়ন পায়।'
'একবার কেউ দলীয় মনোনয়ন পেয়ে গেলে তার পক্ষে কাজ করা ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর আর কোনো উপায় থাকে না। এ কারণে আব্বাসের পক্ষে থেকে তার নির্বাচনে আমাকে খাটতে হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এক ভাই বিএনপি করে এবং আরেক ভাই আওয়ামী লীগ করে এরকমটা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। এমনকি সংসদ নির্বাচনেও এরকম ঘটে থাকে।'
এ ছাড়া, রাজশাহী শহরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলীর গ্রেপ্তার দাবি করে বিক্ষোভ করে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: