‘নিশিরাতে ভোট ডাকাত সরকারের লোকজন এখন ইউপি নির্বাচন নিয়ে নিজেরাই কামড়া-কামড়ি ও মারামারি করে গ্রামীণ জনপদে সাধারণ মানুষের শান্তি বিনষ্ট করে দিচ্ছে। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক-অস্থিরতা ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা। চলমান ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২২ জনের প্রাণহানি হয়েছে।’
বুধবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা নিজের আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের খান পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় বেজায় মনোক্ষুণ্ন হয়েছেন। তাই সেখানে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের পক্ষে প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন তিনি। মাঠে নেমেছে রাতে ভোট ডাকাতি করে দশমিনা-গলাচিপা আসনে নৌকার অটো এমপি সিইসির আপন ভাগ্নে এস এম শাহজাদা, সহোদর আবু তাহের খানসহ তাদের পুরো পরিবার।’
নিজের বক্তব্যে ইসির কড়া সমালোচনা করেন রিজভী, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসে, সেক্ষেত্রে এতসব সহিংসতা ও অনিয়মের দায় নির্বাচন কমিশনের। ভোট ডাকাতিকে সহায়তা দিতে গিয়ে নির্বাচনি হিংসা, সন্ত্রাসবাদকে লালন-পালন করেছে কমিশন। ক্ষমতাসীনদের হরেক কিসিমের নির্বাচনি প্রতারণার নির্লজ্জ পৃষ্ঠপোষক কে এম নুরুল হুদা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: