সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল মঙ্গলবার দেশব্যাপী 'সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা' কর্মসূচি পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এছাড়াও দলটির জাতীয় নেতৃবৃন্দ সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলায় এই কর্মসূচি পালন করবে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে 'সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা' কর্মসূচি পালন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই জরুরি সভায় যুক্ত ছিলেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা প্রতিরোধ করার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং যে কোন মূল্যে বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন বিশ্বসভায় একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঠিক সে সময়ে একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সরকার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করেছে। ইতোমধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে এবং বাকীদেরও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সরকার পরিস্থিতির উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এবং এই ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম মোজাম্মেল হক, এস. এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: