সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবার মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বিতর্কিত যুবলীগ নেতা বিল্লাল আহমদ। তিনি ছাতক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার ব্যাপারে হত্যা, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ দখলদারিত্ব সহ প্রায় ডজনখানেক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হত্যা মামলার ১ নাম্বার আসামী। দলীয় কুন্দল ও প্রভাব বিস্তারের উদ্দেশ্যে তিনি নিজ দলীয় এ নেতাকে খুন করান বলে জানা গেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি ইত্যাদি প্রকল্পের সরকারি বরাদ্দের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন বিল্লাল আহমদ। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি লাখ টাকার অর্থ লুটপাট করারও প্রমাণ রয়েছে। তিনি ২০১১-১২ অর্থবছর ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে এমপির বিশেষ বরাদ্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে কাজ না করেই বরাদ্দের টাকা তুলে নেন। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়েও হাতিয়ে নেন সরকারি অর্থ।
রাতারাতি শূন্য থেকে কোটিপতি হয়ে যাওয়া ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। চলতি বছরের প্রথম দিকে দুদকের নির্দেশে সুনামগঞ্জ জেলা ডিসি জেনারেল শরিফুল আলম তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলেন। সেসময় তার টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি ইত্যাদি প্রকল্পের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই তদন্ত করে আত্মসাতের প্রমাণ পায় দুদক।
এছারাও দলের আদর্শ পরিপন্থী বিভিন্ন কাজে তার সম্পৃক্ত থাকার জন্য আওয়ামী পরিবারে রয়েছে ক্ষোভ। তিনি ২০২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ছাতক থানা পুলিশের নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও স্বপ্রণোদিত হয়ে হেফাজতের মামুনুল হককে খুরমা উত্তর ইউনিয়নের মৈশাপুর ইউনিয়নে এনে ওয়াজ মাহফিল করে্ন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা বাধা দিলেও এক তরফা ভাবে পেশীশক্তির জোরে বিল্লাল সে অনুষ্ঠান চালান বলে যানা গেছে।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য বিল্লাল আহমেদ কে ফোন করলে তার ফোনটি বন্ধ দেখায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: