আগামী ৫ অক্টোবর জয়পুরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে দলটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের সম্ভাব্য ১০ প্রার্থীর ডোপ টেস্ট করা হয়েছে।
দলটির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শাহ জালাল মুকুল।
তিনি বলেন, ডোপ টেস্টে যাঁদের ফল ভালো আসবে, শুরু তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন।
রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। জয়পুরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই সভার আয়োজন করে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা শাহ জালাল সভায় বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটির পদপ্রত্যাশীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। ডোপ টেস্ট ছাড়া কেউ কমিটিতে আসতে পারবেন না। যদিও গঠনতন্ত্রে ডোপ টেস্টের কথা বলা নেই। আমরা ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্রে ডোপ টেস্টের কথা আনব। এখন ডোপ টেস্ট ছাড়া কেউ প্রার্থিতা দাখিল করলে তাঁকে বাদ দেওয়া হবে।
শাহ জালাল বলেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তি কখনো নেতৃত্ব দিতে পারেন না। এ কারণেই ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জয়পুরহাট জেলার ১০ জন ঢাকায় গিয়ে ডোপ টেস্ট করিয়েছেন। তাঁরা হলেন আতিকুল আনোয়ার, আবিদ আজাদ, গোলাম মোর্শেদ, নাহিদ আস-সাকিব, শামীম আহাম্মেদ, রমজান আলী সরদার, মুক্তারাম দাস, আরিফ রব্বানী, সাজিদ রাব্বি রাহাত ও তিতাস নবী। তাঁরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্ট ছাড়া কাউকে কমিটিতেও রাখা হবে না।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম সৈকত জানান, ২০১৫ সালের ২২ জুন সবশেষ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: