আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন বলে দাবি করেছেন তার ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।
আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, পুলিশের প্রতি অনুরোধ আপনারা সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার অভিযানে বাধা সৃষ্টি করবেন না কারো টাকা খেয়ে। এগুলো বন্ধ করেন, নিরপেক্ষ থাকেন। নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার সাহেব ও কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি সাহেব কত টাকা খেয়ে বলেন সব উপরের নির্দেশ। উপরে কি ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দিয়েছেন? দিতে পারেন। উনি তো সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন। আর, তার স্ত্রীর নির্দেশে আজকে পুলিশ অবৈধ খালের জায়গা দখলের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে তিনি এ দাবি করেন।
বসুরহাট পৌরসভা মেয়র বলেন, ‘মন্ত্রী বলেন-তাদের সঙ্গে আমার ৬ মাসেও দেখা হয়নি, ১ বছরেও দেখা হয়নি। আপনের খবর সবাই জানে। আপনার সব তথ্য আমার কাছে আছে। ধমকি দিয়েন না। আমি জায়গা মতো পৌঁছাবো।’
তিনি বলেন, আপনি কী মনে করছেন? বুড়াকালে কি ভীমরতি হয়েছে? এগুলো করলে এখানে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ আপনার কবর রচনা করবে আগামী নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে দাঁড়াবার সুযোগও পাবেন না। আপনার কবিরহাটেও আমরা অনুরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করব। এগুলোর জবাব পরবর্তী নির্বাচনে আপনাকে দিতে হবে। পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
অপরদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাদের মির্জা লিখেছেন, ‘আমি আগেই বলেছি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের, বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন এমপিকে জানিয়েছি। আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির কোনো পদে এ থাকবো না। এমনকি এটাও বলেছি যদি কোনো পদে আমাকে রাখা হয়, আমি সাথে সাথে পদত্যাগ করব।’
তিনি লেখেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি। আমি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির কোনো পর্যায়ে নেতৃত্ব চাই না। এখনো আমাকে সদস্য করার জন্য কমিটিতে জায়গা খালি রাখা হয়েছে। কিন্তু আমি আবারো দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি ‘আমি জেলা কমিটির কোন পদে থাকবো না, যদি কোন পদে দেয় সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করবো।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে কাজ করব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলব, আমি শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলব, আমি আওয়ামী লীগের জয় গান গাইবো।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৮৭ সদস্যবিশিষ্ট নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। তাকে আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য করা হয়েছে। তবে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: