জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে নতুন করে আলোচনার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্টের কবর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সরানো হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে ‘দালিলিক প্রমাণ’ থাকায় জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের খেতাবও বাতিল করা হবে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হত্যা রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি “ওই কবরে জিয়ার লাশ নেই” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন এক বক্তৃতার পর আওয়ামী লীগ নেতাদের একই বক্তব্য এবং বিএনপি নেতাদের পাল্টা জবাবের মধ্যে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠানে এই প্রসঙ্গে কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নকশাবহির্ভূত শুধু জিয়ার কবরই নই, আরও যত কবর আছে বা অন্যকিছু অবৈধ স্থাপনা, সব অপসারণ করতে হবে। সংসদের মূল নকশার বাইরে কোনো কিছু থাকা উচিৎ নয়। তা আইন বহির্ভূত।”
মন্ত্রী বলেন, “কবর ঢাকায় থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। জিয়ার লাশ কোথাও যদি থেকে থাকে, সেখানে গিয়ে তাকে সম্মান জানাতে পারে তার অনুসারীরা।”
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানের লাশ পাওয়া যায়নি। সেই কফিনের মধ্যে কী ছিল, মানুষ ছিল না অন্য কিছু ছিল সেটা আল্লাহ মালুম... জানি না। একটা কাঠের বাক্স সেখানে দাফন করেছে। সেই কবরে কোনো কিছু থেকে থাকে, তার ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ হয় (জিয়ার লাশ রয়েছে), জাতির কাছে নাকে খত দিয়ে ক্ষমা চাইব।”
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, “যদি কেউ জাতির পিতাকে হত্যা করে, আর তাকে শ্রেষ্ঠ সম্মান দেব, এমন সন্তান তো আমি হতে পারি না। তাই বঙ্গবন্ধুর কোনো হত্যাকারীরই খেতাব থাকতে পারে না।”
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খেতাব বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান যে জড়িত ছিল সারকামস্টেনশিয়াল এভিডেন্স তো আছেই। দালিলিক প্রমাণ আছে সেটাও বলব। এখনও করিনি, অপেক্ষায় আছি প্রমাণ সাপেক্ষে।”
মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমও বক্তব্য দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: